খালেদার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি না হওয়ায় অসন্তোষ বাদীর

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ জুন ২০১৭, ১৬:১৫

যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মামলার বাদী বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।

রোববার মামলার ধার্য তারিখে আদালতে শুনানির পর সাংবাদিকদের কাছে এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকীর আদালতে মামলার শুনানি হয়।

এ বি সিদ্দিকী বলেন, মামলাটিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারির প্রতিবেদন দাখিল হয়। আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি আদালতে। নিয়ম অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার কথা থাকলেও মহানগর হাকিম এ কে এম মঈন উদ্দিন সিদ্দিকী ১২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।’

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এ বি এম মশিউর রহমান মামলাটিতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর গত ২২ মার্চ তা আমলে নিয়ে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ১১ জুন আদালতে হাজির হতে সমন জারি করে আদালত।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। ওই মন্ত্রিপরিষদে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাকিস্তানের দোসর হিসেবে নিজেদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই জামায়াতে ইসলামী, ছাত্র শিবির, আলবদর, আলশামস কমিটির সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রী ও এমপি বানান। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মৃত্যুদ-সহ বিভিন্ন দ-ে দ-িত হয়েছেন। তাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার সরকারের মন্ত্রিত্বপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামী এবং আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মুত্যুদ- কার্যকর হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তিদের তার মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকাকে তাদের গাড়িতে তুলে দিয়ে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক জনগণের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে দ-বিধির ৫০০ ধারার মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।’

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ‘স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানো’র অভিযোগ এনে সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন। ওই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার প্রয়াত স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়।

মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তৎকালীন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে তাকে তার বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর-রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেন। এর মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১১জুন/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

কেরানীগঞ্জে আ.লীগের নির্বাচনি প্রচারে যুবদলের নেতারা!

বিএনপির আরও তিন নেতা বহিষ্কার

জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবে না: সালাম

রাজধানীতে যুবদলের প্রতিবাদ সমাবেশ ১১ মে

৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আ.লীগ জনগণকে কবরস্থ ক‌রে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়: রিজভী

বাংলাদেশ ও ভারত ভবিষ্যৎ বিশ্বে নানা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে: ড. সেলিম মাহমুদ

রাজনৈতিক দলগুলো কথা বন্ধ রাখলে গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়বে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পতাকা ওড়ানোসহ ছাত্রলীগের একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা

একদলীয় শাসনে বাংলাদেশে আজ মুক্ত গণমাধ্যম অনুপস্থিত: মঈন খান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :