নারীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি, (এই সময়), ফরিদপুর
| আপডেট : ১৫ জুন ২০১৭, ২১:৪৫ | প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০১৭, ২০:৫২

দেশের নারী সমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত রূপকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের বদরপুরস্থ মন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত নারী সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীর অংশগ্রহণের মান হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান ষষ্ঠ। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নারী উন্নয়নে আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৬’ অনুযায়ী ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম, যা দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনো দেশের চেয়ে ভালো অবস্থান নির্দেশ করেছে।’

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হবার পর আওয়ামী লীগ সরকার প্রথমবারের মতো জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করে- যার প্রধান লক্ষ্য ছিল যুগ যুগ ধরে অবহেলিত ও নির্যাতিত এদেশের নারী সমাজের ভাগ্য উন্নয়ন করা। এ নীতির সুফল আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি। নারীদের প্রতি সকল ধরণের সহিংসতা রোধেও বর্তমান সরকার অত্যন্ত কঠোর ভূমিকা পালন করছে।’

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘নারী শিক্ষা অবৈতনিক করাসহ উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের উন্নয়নের মূলস্রোতে আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে।’

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের চেয়েও ক্ষেত্র বিশেষে এগিয়ে আছে এবং দেশ পরিচালনায় গুরুদায়িত্ব পালন করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেত্রীও নারী। বিচারক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, এমনকি পুলিশ ও সামরিক বাহিনীতেও রয়েছে নারীদের উপস্থিতি। নারীরা সংরক্ষিত আসনের বাইরে এসে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে পুরুষের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হচ্ছেন।’

মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য মিলে প্রায় ১৫ হাজার নারী জনপ্রতিনিধি রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিককালে নবগঠিত নির্বাচন কমিশনেও কমিশনার হিসেবে একজন নারী নিয়োগ পেয়েছেন।

ইফতার অনুষ্ঠানে সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পরিবারসহ সকল শ্রেণিপেশার নারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইফতারের পূর্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি, শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :