তিন কারণে বাস্তবায়ন হয়নি ভ্যাট আইন: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০১৭, ১৮:১৫

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি মনে করে কারিগরি প্রস্তুতি, রাজনৈতিক ঐক্যমতের অভাব এবং সামাজিক তাৎপর্যকে অনুধাবন করতে না পারার কারণে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।

সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাজেট পরবর্তী পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কারণ বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা মনে করি, প্রধানত তিন কারণে ভ্যাট আইন কার্যকর হয়নি। সেগুলো হলো- কারিগরি বা টেকনিক্যাল প্রস্তুতিতে ঘাটতি; রাজনৈতিক নেতাদের মতপার্থক্য এবং প্রশাসনিক দূরদর্শিতা ও রাজনৈতিক দক্ষতার অভাব।’

২০১২ সালের ‘মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন’ এ বছর ১ জুলাই থেকে কার্যকর করার কথা থাকলেও তা পরে দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।

এ সম্পর্কে দেবপ্রিয় বলেন, ভ্যাট সম্পর্কিত সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে হবে না। থেমে থাকলে হবে না। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে যেসব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে সেগুলো চালু রাখতে হবে। দুই বছর পর যেন শূন্য থেকে শুরু না করতে হয়। নির্বাচনী ডামাডোলে ভ্যাটের প্রস্তুতি যেন হারিয়ে না যায়।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কারিগরি বা টেকনিক্যাল প্রস্তুতিতে ঘাটতির ফলে ভ্যাট আইনের প্রয়োগ এবং এর প্রভাবের ব্যাপারে সামগ্রিক স্বচ্ছতা ছিল না। অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের যথেষ্ট সক্ষমতা বৃদ্ধির করার প্রয়াস কম ছিল। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতাদের মতের ভিন্নতা ছিল। এছাড়া ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ফলে কী প্রতিক্রিয়া আসতে পারে- তা আগে থেকে অনুধাবন করা হয়নি। প্রশাসনিক দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক দক্ষতার অভাবে এমনটি হয়েছে।

ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়া ভ্যাট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় ঘাটতি থাকবে বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ভ্যাট ঘাটতি পূরণের জন্য প্রত্যক্ষ কর, এনবিআর বহির্ভূত রাজস্ব আদায় ও কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ে জোর দিতে হবে।

দেবপ্রিয় বলেন, বাজেটের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে না; সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হচ্ছে। এবারও মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রায় রাজস্ব ঘাটতি ৩৭ হাজার কোটি টাকা। মূলত প্রাক্কলনের গুণগত মান না থাকায় এই ঘাটতি হয়েছে।

দেবপ্রিয় আরও বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের প্রবৃদ্ধি ১৯ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরে ঘাটতি থাকবে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। আর যে হারে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে সে হিসেবে ধরলে, প্রবৃদ্ধি হবে ১৫ শতাংশ; এমনটি হলে ঘাটতি থাকবে ৫১ হাজার কোটি টাকা। আর জিডিপির সঙ্গে তুলনা করলে রাজস্ব ঘাটতি হবে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ভ্যাটের ঘাটতি পূরণে ব্যক্তি খাতে কর আদায় বাড়াতে হবে। রাজস্ব ঘাটতি দূর করতে এলাকাভিত্তিক, পেশাভিত্তিক আয়কর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। করের ভিত্তি প্রসারিত না হলে বর্তমান করদাতাতের অত্যাচার করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এনআরবি ব্যাংকের নতুন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন ওমর ফারুক

সিটি ব্যাংক ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি স্বাক্ষর

চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা 

জনতা ব্যাংকে টাস্কফোর্স সভা অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ক্যাম্পেইন উদ্বোধন 

সড়কে দুর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএর অভিযান

লাইফ ইন্স্যুরেন্স শিল্পে জনপ্রিয় মোটিভেশনাল স্পিকার কাজিম উদ্দিন

জনতা ব্যাংকের ‘রায়ের বাজার শাখা’ নতুন ভবনে স্থানান্তর

নারী উদ্যোক্তাদের এবি ব্যাংকের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :