পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
অবশেষে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেল বছর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল নয়াদিল্লি। শনিবার রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল দেশটির সরকার। মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সেখানকার ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিতেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।
গেল বছরের বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতির চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ভারতবাসী। দেশটিতে টমেটো থেকে পেঁয়াজ, প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এছাড়া মহারাষ্ট্রে বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে এ খাদ্যপণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ৪০ রুপি ছাড়িয়ে যায়।
এর ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। প্রথম দফায় চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার। পরে ২৪ মার্চ ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটির সরকার।
এতে করে বিপাকে পরে ভারতের পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করা অনেক দেশ। প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। প্রায় চার মাস পর শনিবার পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত সরকার। রপ্তারি করতে টনপ্রতি সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ ভারত। ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে ৪৭ কোটি ১০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি। ২০১৯ সালেও ভারতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪৫ রুপিতে পৌঁছালে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির সরকার। সে সময় মিয়ানমার, মিশর, তুর্কিয়ে ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ।
ভারতের বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৪মে/কেএ/কেএম)