জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয় তখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। অথচ আজ তারা (বিএনপি নেতারা) বড় বড় কথা বলেন।

বুধবার দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে নানক এসব বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।

নানক বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিন্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমারা ঘুরে দাঁড়ালাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিল। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী দিনাজপুর সফর সম্পর্কে বলেন, আমি ধান চালের এই অঞ্চল দিনাজপুরে এসেছি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে। মিলারদের সঙ্গে কথা বলব, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলব। আমরা পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬ দশমিক ৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে আমরা শিগগির সিদ্ধান্ত নেব।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতাসহ দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

(ঢাকাটাইমস/২২মে/জেএ/কেএম)