ঢাকসুর দাবিতে সিনেট ফটকে ছাত্র-শিক্ষক হাতাহাতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য সিনেটের বিশেষ অধিবেশন চলার সময় সিনেটের প্রধান ফটকের সামনে ডাকসুর দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের হাতাহাতি হয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের ওপর হামলার অভিযোগ করছে।
শনিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এদিন ঢাবির বিশেষ সিনেট অধিবেশনে তিনজনের উপাচার্য প্যানেল গঠন করা হয়।
ঢাবির বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের এক অংশ অধিবেশন বর্জন করে।
সিনেট অধিবেশন সামনে রেখে মূলত ঢাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সিনেট ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল। সিনেট ভবনের তালা বন্ধ থাকায় বিক্ষোভের একপর্যায়ে তারা তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় সিনেটে অবস্থানরত শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন বলে দিাবি করা হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্র নাসির আবদুল্লাহর দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলেন। কিন্তু শিক্ষকরা তাদের বাধা দেয় এবং হামলা করে।
উপাচার্য নির্বাচনের বিপক্ষে নয়, সিনেট অধিবেশনে ছাত্রদের পক্ষ থেকে পাঁচজন প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির।
ডাকসু নির্বাচন হোক তা তারাও চান বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ। কিন্তু কেন্দ্রীয় রাজনীতির প্রভাবের কারণে এই নির্বাচন করা যাচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের উপাচার্য ২০০৯ সালে ঢাকসু নির্বাচনের জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেটা করতে পারেননি। এরপর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আর আলোচনার সুযোগ হয়নি।’
হাতাহাতির ব্যাপারে অধ্যাপক এ এম আমজাদ বলেন, ‘উপাচার্য নির্বাচনের লক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সিনেটের প্রধান ফটকটি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ছা্ত্ররা আমাদের কথা না শুনে ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন শিক্ষক আহত হন।’
সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকায় একে অবৈধ বলছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ‘ছা্ত্ররা বলতেই পারে। তবে অধিবেশন অবৈধ নয়।’
(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/মোআ)