ঝিনাইগাতীতে অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে সেতু

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০১৭, ১৮:২৬

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর ওপর সন্ধ্যাকুঁড়া সীমান্ত সড়ক সংযোগস্থলে নির্মিত সেতুটির বিমের ব্যাজের নিম্নাংশের মাটি দিন দিন শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে ওই সেতুটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী পাড়ে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র বসিয়ে ২৪ ঘণ্টা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেই এমন আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সেতু ও এর আশপাশের আবাদি জমিও ভাঙনের কবলে পড়েছে। সেতুটি ভেঙে পড়লে ওই পথে চলাচলকারী অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অসুবিধায় পড়বে বলে তাদের দাবি।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার মহারশি নদীর উপর নলকুঁড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুঁড়া সীমান্ত সড়কে ২০০৫-২০০৬ অর্থ বছরে গ্রেটার ময়মনসিংহ প্রজেক্টের (জিএমপি) আওতায় তিন কোটি ত্রিশ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬০.১৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়।

গুমড়া গ্রামের বাসিন্দা এমদাদ হোসেন বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে মহারশি নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সেতুর বিমের ব্যাজের নিম্নাংশের মাটি দিন দিন শূন্য হয়ে পড়ছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে এবং আশপাশের আবাদি জমিগুলোতে ভাঙন শুরু হয়েছে।

স্থানীয় লুৎফর দেওয়ান, আবুল হাসেম, ময়না মিয়া, তালেব আলী জানান, বালু ব্যবসায়ী হেলাল, শাহ আলম, শাজাহান, জাফরসহ সংঘবদ্ধ একটি দল সেতুর দক্ষিণ ও উত্তর পাশে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র বসিয়ে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। ২৪ ঘণ্টা অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেই সেতুটি এখন হুমকির মুখে। যে কোন সময় ভেঙে পড়লে ওই পথে চলাচলকারী অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অসুবিধায় পড়বে।

তারা বলেন, এভাবে অবাধে বালু উত্তোলন করা হলেও কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। আবার কখনো কেউ এর প্রতিবাদ করলে মামলাসহ নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

জানতে চাইলে বালু ব্যবসায়ী হেলাল বলেন, বালু উত্তোলনে অনুমতির বিষয়ে আমার কাছে কোন কাগজপত্র নেই। আমিসহ হাশেম, কালাম আরও দুজন সামিউল ফকিরের অধিনে বালু উত্তোলন করি।

বালু উত্তোলনকারী জাফর বলেন, সেতু থেকে একহাজার গজ দূরে মেশিন বসিয়ে পাইপ দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই যেভাবে তুলছে- আমিও ওইভাবেই বালু উত্তোলন করছি।

অবাধে মহারশি নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে ভাঙনের কবলে পড়ে ওই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক।

এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে খননযন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। সবার সহযোগিতায় বালু উত্তোলন বন্ধে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :