শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব মানবতার নেত্রী: মায়া

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৫৫
অ- অ+

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুধু বাংলাদেশের মানবতার নেত্রী নয়, তিনি এখন সারা বিশ্বের মানবতার নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা রোহিঙ্গাদের সাথে খাবার ভাগ করে খাবো তবুও তাদের সমস্যা সমাধান করবো এ কথা বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই বিশ্ব দরবার তাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যা দিয়েছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিপন্ন রোহিঙ্গাদের জন্য রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মায়া বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে শেখ হাসিনা পৃথিবীর সব রাষ্ট্রকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম।’

মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য, অস্থায়ীভাবে বসবাস, পানীয়, পয়ঃনিষ্কাশন, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে, যা বিশ্ব দরবারে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে থাকলে তাদের জন্য ভাসানচরকে বসবাস উপযোগী করা হবে। সেখানে তাদের জন্য সরকারিভাবে সব ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে ভাসানচরে নৌবাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে।’

মায়া বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা কোনো নতুন বিষয় নয়। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে। আবার অনেক সময় তারা বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে চলেও গেছে। তবে এবার তাদের আসার পরিমাণটা অনেক বেশি। তাদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে বিভিন্নভাবে আলোচনা চলছে।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যে ত্রাণ সামগ্রী রোহিঙ্গাদের জন্য প্রদান করছে তা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

মায়া আরও বলেন, ‘কক্সবাজার যেখানে কোনো মানুষ বসবাস করতো না সেখানে এখন উপশহরে পরিণত হয়েছে। প্রথম দিকে সবাই খোলা আকাশের নিচে থাকতো। কিন্তু এখন প্রায় ৭৫ হাজার পরিবার ঘরে থাকে। তাদের জন্য সেখানে ঘর তৈরি করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কক্সবাজার থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার রাস্তা করার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে সরকার প্রায় নয় কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে ফেলেছে। তারা যেখানে থাকে সেখানে কোনো বিদ্যুৎব্যবস্থা ছিল না। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তায় এখন আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একযুগ পূর্তি হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়ম্বরতা পরিহার করে অনুষ্ঠানের জন্য যে ব্যয় হতো সেই অর্থ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ত্রাণ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তর অংশগ্রহণ করে। এই কর্মসূচির আওতায় শিশু খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার ত্রাণসামগ্রী এক হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৮অক্টোবর/আইএইচ/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যাত্রাবাড়ীতে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৮৬
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চব্বিশের শহীদদের নামে হবে স্থাপনা-সড়কের নাম: তারেক রহমান
হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা