জেগেছে পদ্মা সেতু-১

৩৫০০ টনের স্প্যানে দৃশ্যমান সেতু

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
  প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ১১:১৮| আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০১৭, ১২:০৮
অ- অ+

সদ্যই বসেছে প্রথম স্প্যান। উত্তাল পদ্মার বুকে এখন সেতু অনেকটাই দৃশ্যমান। এর বাকি কাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতেই। যা দেখে এসেছে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম টিম। মাওয়া ও জাজিরা ঘুরে এসে লিখেছেন হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ছবি তুলেছেন শেখ সাইফ।

সতেরো বছর ধরে পদ্মায় স্পিডবোট চালাচ্ছেন জব্বার মিয়া। পদ্মায় সেতু হলে লম্বা সময়ের এই পেশা ছাড়তে হবে। তাতেও দুঃখ নেই। পদ্মা সেতু জেগেছে, এটাই তার কাছে বড় আনন্দের। সেতু হলে তো স্পিডবোটের কদর কমবে। কী করবেন তখন? জবাব দেন, ‘কী করমু জানি না। তয় কিছু একটা করতে হইবো।’ একশ পঞ্চাশ মিটারের স্প্যান বসেছে খুঁটির ওপর। আর সব মানুষের মতো তারও অপেক্ষা। জানালেন, ‘ইচ্ছা আছে একবার হাইটা পদ্মা সেতু পার হমু।’ চুল-দাড়িতে তো পাক ধরেছে। এই বয়সে পারবেন? ফোকলা দাঁতে হেসে বললেন, ‘আল্লাহর রহমত পঞ্চাশ পার হইছে। এখনও শরীরে বাত-ব্যথা নাই।’

শরতের আকাশের মতো নদীও শান্ত। মায়াময়। স্পিডবোট চলছে জাজিরার দিকে। শান্ত নদীতে হঠাৎ বিকট শব্দ! দানবীয় হুংকারের মতো। থেমে থেমে। একটু এগোতে শব্দটা আরও স্পষ্ট হলো। দ্রিম! দ্রিম! বিশাল নদীর বুকে এক একটা আঘাতে কেঁপে উঠছিল পানি। আশপাশে ঢেউ জাগছে। কাছে যেতে চোখে পড়লো ক্রেনটি। সেতুর খুঁটিতে পাইলিং চলছে। ছয়টি করে পাইল বসানো হচ্ছে একটি খুঁটিতে। প্রতিটি পাইল ৯৬ থেকে ১২৮ মিটার গভীরে যাচ্ছে।

মাথায় হলুদ রঙের সেইফি হেলমেট পরা এক যুবক ক্রেনবাহী বার্জের কিনারায় এসে বসলেন। কথা বলার আগ্রহ দেখানোর পর স্পিডবোটের দিকে ঝুঁকে বললেন, ‘পাইলিং হচ্ছে। ১২৫ মিটার গভীরে যাবে।’ কথার ফাঁকে নিজের পরিচয় দিলেন। নাম সুমন। তার দেখাদেখি আসলেন মাহবুব, নূরনবী, সুজন, জাবেদ। তারা সবাই বাংলাদেশি। তবে তাদের তত্ত্বাবধানে আছেন একজন চৈনিক প্রকৌশলী। সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।

মাহবুব বলেন, ‘অনেক ঝুঁকির কাজ। একটু উনিশ-বিশ হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ নূরনবী এবার নিজে থেকেই বললেন, তিন বছর ধরে তিনি কাজ করছেন। ছোটখাটো কিছু আঘাত পেয়েছেন। তবে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করেই তারা কাজ করেন।

পদ্মাজুড়েই এখন ব্যস্ততা। একটার পর একটা ট্রলার ছুটছে কর্মীদের নিয়ে। স্পিডবোট আসছে-যাচ্ছে। ট্রলারের মাথায় উড়ছে চীন আর বাংলাদেশের পতাকা। কর্মীরাও ব্যস্ত কাজে। এতটুকু হেলা করার সময় নেই। কোনো কোনো কাজ চলে দিনরাত। দুই পর্বে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত একটি দল কাজ করে। রাতের দলটি চলে এলে দিনের দল বিদায় নেয়। কর্মব্যস্ত এই কর্মীদের কথা বলার ফুরসতও হয় না। হাতে অবসর নেই। মাঝ পদ্মায় রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা তিলে তিলে গড়ে তুলছেন ১৬ কোটি বাঙালির স্বপ্নের সিঁড়ি। যে সিঁড়ি বেয়ে উন্নয়নের চাকা ঘুরবে দক্ষিণাঞ্চলের পথে।

প্রকল্পের গোড়াতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে থমকে দেয়া হয়েছিল স্বপ্নপূরণের যাত্রা। বিশ^ব্যাংক ও জাইকা অর্থায়নে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু শেষে তারা পিছু হটে। কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণের আকাশে সিঁদুরে মেঘ। সেই মেঘ দূর হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায়। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নেই হবে। তখন এটি অধরা কল্পনা হলেও এখন এটি বাস্তবতা। পদ্মা সেতু দৃশ্যমান।

এবার সামনে যাওয়ার পালা। পাইলের কাজ চলছে বেশ কয়েকটি খুঁটিতে। বার্জ ভাসছে। নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত ভারী মেশিনারিজ ভিড়ে আছে নির্মাণাধীন এলাকায়। বড় বড় হ্যামেরার আঘাতে পানির নিচে গেঁড়ে যাচ্ছে পাইলগুলো। মূল সেতুতে পাইল বসবে ২৪০টি। ৭৭টি এরই মধ্যে বসে গেছে। ৫৭টি পাইলের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। বাকি ২০টি পাইল বসেছে গোড়াতে। পাইলের পর শাটারিংয়ের কাজ। রড দিয়ে পিলারের খাঁচা তৈরি করতে হয়। সেই খাঁচাতে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে গড়ে তোলা হয় পিলারগুলো। পিলারের খাঁচাটাকে মোড়ানোর কাজকে বলা হয় শাটারিং।

শাটারিংয়ের জন্য আছে আলাদা দল। এরা সরঞ্জাম এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ক্রেনের মাধ্যমে আনা-নেয়া করে। এই দলের সদস্য রুবেল। নির্মাণ পেশায় আছেন ১৩ বছর। পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকেই কাজ করছেন তিনি। জানালেন, নতুন খুঁটিতে শাটারিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। তার সাথে আছেন তারেক, আবু জাফর, বারেক। পদ্মা সেতুর মতো ঐতিহাসিক একই স্থাপনার অংশীদার তারা। নিজের দেশের জন্য এত বড় একটি কাজে জড়িত হতে পেরে আবু জাফর বেশ গর্বিত। বললেন, ‘পদ্মার ঢেউ দেখলে মাঝে মধ্যে বুক কাঁপে। বোট দিয়ে পার হওয়ার সময় চোখ বন্ধ করে রাখতে হয়। একবার মনে করেছিলাম কাজ আর করবো না। চলে যাবো। কিন্তু পরে আর যাওয়া হয়নি।’ তার সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে এলেন বারেক। তিনি হাসিমুখে বললেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ একবার হয়েছে। পদ্মা সেতুও একবার হচ্ছে। যুদ্ধের সময় আমার জন্ম হয়নি। এখন পদ্মায় কাজ করতেছি। এটাই গর্বের।’

তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সামনে এগোতে স্পষ্ট হচ্ছে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে বসানো স্প্যানটি। প্রকৌশল ভাষায় ইস্পাতের তৈরি এই কাঠামোকে বলে ট্রাস। এরকম ৪১টি ট্রাস বা স্প্যান বসবে ৪২টি খুঁটিতে। একটির সঙ্গে আরেকটি নাটবোল্ট আর ওয়েল্ডিংয়ের মাধ্যমে জোড়া দিয়ে তৈরি হবে সেতু। এর ভেতর দিয়ে যাবে রেল। উপরে হবে চার লেনের রাস্তা। কিছুদূর যেতেই চোখে পড়লো বেশ কয়েকজন শ্রমিক পানিতে ভাসানো একটি বিশাল পাইপের মতো দেখতে কাঠামোকে ক্রেন দিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করছে। ৩৪ নম্বর খুঁটিতে চলছিল এই যজ্ঞ। রঞ্জু নামে এক কর্মী জানালেন, এটাই হচ্ছে পাইল। যা যান্ত্রিক হ্যামারের মাধ্যমে গেঁড়ে দেয়া হবে নদীতল থেকে আরও গভীরে। ৬১ মিটার লম্বা ওই কাঠামোটির আগে ৫১ মিটার লম্বা আরও একটি কাঠামো নদীর তলদেশ ফুঁড়ে মাটিতে গেঁড়ে দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হবে ৬১ মিটার লম্বা পাইলটি।

সেতু নির্মাণ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এরকম ছয়টি পাইল বসানো হচ্ছে প্রতিটি খুুঁটিতে। ইস্পাতের এসব পাইল মাটির নিচে ৯৬ থেকে ১২৮ মিটার গভীরে বসানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত সত্তরের বেশি পাইল বসানো হয়েছে। কাজ চলছে বেশ কয়েকটির। ১৬টি খুঁটির নির্মাণ কাজ অনেকদূর এগিয়েছে।

নদী বেশ শান্ত। তবে রোদের তাপ বেশি। মাথার ওপর সূর্য এমনভাবে ছড়িয়েছে যে, চোখ মেলে সহজে তাকানো যাচ্ছে না। বোট চলছে গন্তব্যে। জাজিরার যেখানে জেগেছে পদ্মা সেতু, সেখানে। চোখ ধাঁধানো এক স্থাপনা! মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। উপরে তাকাতে মনে হচ্ছে সেতুর কাঠামোটি আর একটু হলে আকাশ ছোঁবে। প্রকা- খুঁটির গোড়ায় শ্রমিকরা কাজ করছে। খুঁটির গা মসৃণ করতে সিমেন্টের আস্তর লাগাচ্ছেন। কাছে গিয়ে জানতে চাইলে শ্রমিক আতিকুর রহমান বললেন, ‘পিলারের গায়ে কোনো রং হবে না। ঢালাই দেয়ার পর হালকা ছিদ্রগুলোতে সিমেন্টের আস্তর দেয়া হচ্ছে। দেখতে ভালো লাগার জন্য।’ ৩৮ নম্বর খুঁটির গোড়ায় তাদের সঙ্গে কথা হয়। এই খুঁটির সঙ্গে লাগানো বার্জে আছেন চৈনিক প্রকৌশলীরা। কাজ দেখার ইচ্ছের কথা জানাতে অনুমতি মিলল।

এবার উপরে ওঠার পালা। সিঁড়ির ধাপে পা ফেলতে পেছন থেকে একজন বললেন, ‘হ্যালো, হেলমেট নিয়ে যান।’ পেছনে ফিরতে নির্মাণ শ্রমিক আবু হানিফ জানালেন, ‘নির্মাণাধীন এলাকায় নিরাপত্তাই প্রথম। আপনাকেও তা মানতে হবে।’ নিরাপত্তার জন্য হেলমেট মাথায় দিতে হবে। পায়ে পরতে হবে সেফটি স্যু। হেলমেট মাথায় দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেলাম উপরে। ঠিক স্প্যানের কাছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর যেটি বসানো হয়েছে। উপরে যেতেই দেখা হলো চীনা প্রকৌশলী রুয়েনের সঙ্গে। পরিচয় বিনিময়ের পর রুয়েন বলল, বেশি সময় উপরে থাকা নিরাপদ হবে না। কাজ শেষ করে আমরা যেন দ্রুত নেমে পড়ি। তাকে বললাম, ‘তাই হবে।’

রুয়েন পদ্মা সেতু প্রকল্পের শুরু থেকে কাজ করছে। স্প্যান বসানোর পর এখন চলছে মাপজোকের কাজ। একটি স্প্যানের সঙ্গে অন্যটি জোড়া দেয়া হবে। এক্ষেত্রে মাপে উনিশ-কুড়ি হওয়ারও সুযোগ নেই। শতভাগ মাপ নিশ্চিত করতে হবে। সূক্ষ্ম পরিমাপ যন্ত্র দিয়ে সেই কাজই চলছে। রুয়েন জানালো ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটি বসানো স্প্যানটির ওজন তিন হাজার ৫০০ টন। দৈর্ঘ ১৫০ মিটার। একটি খুঁটি থেকে অন্য খুঁটির দূরত্বও সমান। স্প্যানের নিচ থেকে উপরে লম্বালম্বি দৈর্ঘ ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। একটি গ্যাপ থেকে অন্য গ্যাপের দূরত্ব ১৮ দশমিক ৭৫ মিটার।

স্প্যান থেকে বেশ দূরে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে বিশালাকার একটি ক্রেন। এই ক্রেন দিয়েই তোলা হয়েছে স্প্যানটি। রুয়ান আঙুল দিয়ে ক্রেনটি দেখিয়ে বলল, চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রেন এটি। ধারণ ক্ষমতা চার হাজার ৫০০ টন। রুয়েন জানালেন এর পরের স্প্যান বসবে ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটিতে। খুঁটি দুটোর নির্মাণ কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে শিগগির শেষ হবে। অক্টোবরের শেষ দিকে কিংবা নভেম্বরের শুরুতে উঠবে দ্বিতীয় স্প্যান।

রুয়েন জানায়, একটি স্প্যান তোলার পর অনেক কাজ থাকে। ঠিকঠাক বসলো কি না সেই মাপজোক দেখতে হয়। একটি খুঁটির থেকে অন্য খুঁটির দূরত্ব ঠিক আছে কি না সেটি নিশ্চিত হতে হয়। স্প্যানগুলো বসানো হয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন স্প্রিংয়ের ওপর। তার পর আবার নাটবোল্ট দিয়ে জোড়া দেয়ার কাজও থাকে।

৩৮ নম্বর খুঁটিতে কাজ করছিলেন মিলন, কফিল উদ্দিন, নিরব ও সুমন। মিলন জানালেন, এখানে কাজের নিয়ম বেশ কঠিন। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে কাজ শুরু হয়। পাঁচ মিনিট এদিক-সেদিক হওয়ার সুযোগ নেই। বললেন, ‘ডিউটি শুরু হয় ধরতে গেলে ভোর পাঁচটা থেকে। ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে হয়। খেতে হয়। তারপর সাড়ে সাতটার দশ মিনিট আগেই কাজে আসা লাগে। দেরি হলে সেদিনের হাজিরা মাইর।’ দু-একজন অভিযোগ তুললেন, দুপুরের খাবার নিয়েও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বললেন, ‘মাসে প্রতিজনের জন্য দুপুরের খাবারের বরাদ্দ পনেরশ টাকা। কিন্তু যে খাবার দেয় তাতে পাঁচশ টাকাও খরচ হয় কি না সন্দেহ আছে। খাবারের মান খুব একটা সুবিধার না। এই খাবার খেয়ে শরীরে শক্তি পাওয়া যায় না। কাজ করা যায় না। গায়ের জামা খুলে দিলে বুঝবেন শরীরের কী অবস্থা।’

এই শ্রমিকদের নিয়োগ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা ঠিকমতো মজুরি পান না। যে ধরনের পরিশ্রম করেন সেই তুলনায় মজুরি খুবই কম। তার ওপর কাজ না করলে বেতন নেই। সব মিলে একজন শ্রমিক সারা মাস কাজ করে ১০ হাজার টাকাও হাতে নিতে পারেন না।

উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ বলা হয় যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুকে। যমুনা সেতু বলতে গেলে উত্তরের মানুষের ভাগ্যই বদলে দিয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ হাতে নেয়ার আগে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুই সবচেয়ে বড় ছিল। এই সেতুটির নির্মাণ কৌশলের সঙ্গে পদ্মা সেতুর বিস্তর ফারাক আছে। এই সেতুটি দিয়ে দূরপাল্লার পরিবহনের পাশাপাশি রেলও চলে। মূল সেতুর গায়ের সঙ্গে লাগিয়ে আলাদা করে রেলপথ তৈরি করা হয়েছে। আর পদ্মায় যে রেলপথ হচ্ছে, তা বাংলাদেশের জন্য প্রথম। এতটা মজবুত ও অত্যাধুনিক স্থাপনা আগে কখনো এদেশে হয়নি।

আগামীকাল দ্বিতীয় পর্ব: কর্মব্যস্ত কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ওয়ার্কশপ

ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/এইচএফ/টিএমএইচ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
একই ঘটনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে মামলা: কার চাপে মামলা নিল খুলশী থানা?
সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই বলেছি: মির্জা ফখরুল
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় জনতা ব্যাংকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত
আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উদযাপন করল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা