অপ্রত্যাশিত জয়, বিএনপি সমর্থকদের বাঁধভাঙা উল্লাস

মোসাদ্দেক বশির, সিলেট থেকে
| আপডেট : ৩১ জুলাই ২০১৮, ০২:১৫ | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০১৮, ০১:৫৭

চার মহানগরে হারলেও সিলেটে বিএনপির জয় নিশ্চিত হয়ে গেল। অথচ ভোটের পর বিকাল এমনকি সন্ধ্যার পরও বিএনপির কর্মী সমর্থকরা ভাবতে পারেননি কী হতে যাচ্ছে। আর রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানের ঘোষণায় বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর কার্যালয়ের বাইরে থাকা বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা ফেটে পড়েন উল্লাসে।

এই জয় আসবে, সেটা ভাবতে পারেননি, সেটি খোলাখুলিই বললেন বিএনপি সমর্থক নজরুল। ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল না এমন বিজয় হবে।’

নজরুলের মতো ভাবতে পারেননি আরও শত শত সমর্থক। মুহূর্তেই রাতে বাসার বাইরে বেরিয়ে আসেন তারা। বৃষ্টির মধ্যেই নাচানাচি, চিৎকার আর উল্লাসে সিলেট নগরী মাতোয়ারা হয়ে পড়ে।

এর মধ্যে আরিফুলের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে এসে ছোটখাটো বিজয় মিছিলও করতে দেখা যায় এক দলকে। কয়েকশ মোটরসাইকেলে করে শহর চক্কর দেয় আরও যুবক তরুণ।

রাতে যত বিএনপি সমর্থক একজোট হয়ে উল্লাস করেছেন, দিনে বিএনপির তত কর্মী সমর্থককে দেখা যায়নি ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে। চারদিকে নৌকা প্রতীকের কথাই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এটা স্পষ্ট বিএনপির সমর্থকরা গোপনে এসে কথা কম বলে ভোটটা দিয়ে গেছেন।

এই জয় কীভাবে সম্ভব হলো-জানতে চাইলে বিএনপি সমর্থক ইমন বলেন, ‘আরিফুল হক যে পরিমাণ কাজ করেছেন তার একটা প্রতিফলন হয়েছে।’

বিএনপি সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেনি কেন- এমন প্রশ্নে জবাব এল, ‘ভয়ে মানুষ এজেন্ট হতে চায়নি।’

রাসেল নামে আরেকজন বলেন, ‘এই নগরীতে যেখানে সমস্যা হয়েছে আরিফুল হক সেখানেই ছুটে গেছেন। ড্রেনেজ ও সড়ক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। যে রাস্তায় ৩০ মিনিট লাগত, সেখানে এখন ১০ মিনিটে যাওয়া যায়।’

২০১৩ সালে বিএনপির যে পাঁচ মেয়র পাঁচটি সিটি করপোরেশনে জিতেছেন, তাদের মধ্যে চারজনই বলার মতো কিছু করে দেখাতে পারেননি। এ জন্য সবাই অযুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন মামলার কারণে গ্রেপ্তার আর বরখাস্ত হওয়াটাকে।

সিলেটে আরিফুলও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাগারে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। আর পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময়ই পালন করতে পারেননি দায়িত্ব। কিন্তু নগরবাসী বলছেন, যে সময়টায় তিনি কাজ করেছেন, উন্নয়ন করেছেন দৃশ্যমান। বিশেষ করে নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর করতে খনন করা খালগুলো বেশ কাজে দিয়েছে।

তবে এখন কর্মী সমর্থকরা এসব বলছেন বটে, তবে ভোটের শেষেও আরিফুলের পক্ষে প্রকাশ্যে গলা ফাটানো কাউকে দেখা যায়নি। এমনকি প্রার্থী নিজেরও আত্মবিশ্বাস ছিল না এটা স্পষ্ট। কারণ, বিকাল চারটায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোটের ফল আগাম প্রত্যাখ্যান করেন। দাবি করেন, ভোট ডাকাতি হয়েছে।

আরিফুল অভিযোগ করেছেন দিনভরই। কেন্দ্র দখল, সিল মারা, এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটের নামে প্রহসন, বলা হয়েছে সব কথাই। এর মধ্যে তিনি এমনও বলেন, আগের রাতেই নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে।

তবে জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিলেটবাসীকে জয় উৎসর্গ করে নির্বাচনকে ঘিরে যা কিছু হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সবার সঙ্গে সম্প্রীতির আহ্বান জানালেন।

ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এমবি/ইএস/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

কেরানীগঞ্জে আ.লীগের নির্বাচনি প্রচারে যুবদলের নেতারা!

বিএনপির আরও তিন নেতা বহিষ্কার

জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবে না: সালাম

রাজধানীতে যুবদলের প্রতিবাদ সমাবেশ ১১ মে

৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আ.লীগ জনগণকে কবরস্থ ক‌রে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়: রিজভী

বাংলাদেশ ও ভারত ভবিষ্যৎ বিশ্বে নানা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে: ড. সেলিম মাহমুদ

রাজনৈতিক দলগুলো কথা বন্ধ রাখলে গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়বে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পতাকা ওড়ানোসহ ছাত্রলীগের একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা

একদলীয় শাসনে বাংলাদেশে আজ মুক্ত গণমাধ্যম অনুপস্থিত: মঈন খান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :