গ্রেনেড হামলার রায়ে জাতীয় ঐক্য: আমির খসরু
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় দিয়ে সরকার বিএনপিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চেয়েছিল বলে মনে করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে আর এই রায়ের পরই গঠন হয়েছে ‘জাতীয় ঐক্য’।
সোমবার রাজধানীতে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ নামে বিএনপিপন্থী একটি সংগঠনের আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপি নেতা। তিনি পুরো বক্তব্যেই তারেক রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলা ও সাজা বাতিলের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গ্রেনেড হামলার রায় নিয়ে আমির খসরু বলেন, ‘তারা ভেবেছিল তড়িঘড়ি করে ২১ আগস্ট হামলার রায় দিয়ে বিএনপিকে একটা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়ে বালি হয়েছে। বরং গ্রেনেড হামলার রায়ের পরেই একটা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট তৈরি হয়ে গেছে। আর এই ঐক্য ফ্রন্টের মাধ্যমেই এদেশের মানুষের মুক্তির পথ উন্মচিত হবে।’
গত ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি ছাড়াও দলের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ কাজী মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা আরিফুল হক পেয়েছেন একই সাজা।
আবার সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু এবং সাভার বিএনপির নেতা মো. হানিফ পেয়েছেন মৃত্যুদণ্ডের রায়।
আমির খসরু বলেন, ‘সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক প্রকল্পগুলো একটার পর একটা ব্যর্থ হচ্ছে। দেশে এখন যে ঐক্য গঠন হয়েছে সেটা সরকারের আর কোন ষড়যন্ত্রমুলক প্রকল্পের সফলতার মূল দেখতে দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ এই জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের মাধ্যমে তাদের স্বাধীনতা আবার ফিরে পাবে আর এটার জন্য জাতীয় ঐক্য কাজ করবে। আজ যেহেতু জাতীয় ঐক্য গঠন হয়েছে তাই এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কালো হাত ভেঙে দিতে সক্ষম হবে।’
তারেক রহমানকে একজন ‘পরিশুদ্ধ ও পরিপক্ব’ রাজনীতিবিদ আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিনি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে উঠে আসা রাজনীতিবিদ। তারেক রহমান প্যারাসুটে করে উড়ে এসে জুড়ে বসে রাজনীতি মাঠ দখল করেনি।
‘২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি (তারেক) একাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল।তিনি আবার এদেশের সাধারণ জনগণের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবেন বলে আশা করি।’
‘তারেক রহমানের নেতৃত্ব গুণ নিয়ে সমালোচনা করার কোন সুযোগ নেই। এই ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’ ‘তারেক রহমান হচ্ছে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের মুল টার্গেট। তারা বিএনপির ভবিষৎ রাজনীতিকে নেতৃত্বশূন্য করার একটা মিথ্যে প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন কিন্তু তাদের সে আশা কখনো পূরণ হবে না। তাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে তাকে দমানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সাবিরা নাজমুলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর /এসআর/ডব্লিউবি