সিরাজগঞ্জে মৎস্যচাষ-জলাশয় সংস্কারের নামে কোটি টাকা হরিলুট

রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ
| আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৭ | প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৫

সিরাজগঞ্জে সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ শীর্ষক প্রকল্প ও জলাশয় সংস্কারের নামে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ শীর্ষক প্রকল্পের নামে ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। কিন্তু ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। শুধু মৎস্যচাষ শীর্ষক এ প্রকল্পের নামেই নয়। নয়-ছয় করা হয়েছে পুকুর সংস্কারের নামে বরাদ্ধ হওয়া ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকাও।

মোটা অংকের এই সরকারি অর্থ হরিলুটের ঘটনাটি তদন্তে করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জলাশয়ের সুবিধা বঞ্চিত মৎস্যজীবীরা।

রায়গঞ্জ সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ সমিতির সভাপতি খায়রুজ্জামান খোকন বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলায় ২০১৪ সালে তিন বছর মেয়াদী নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩৪টি পুকুর খননসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থ বছরে ২৪ হেক্টর আয়তনের ৩০টি পুকুর পুনঃখননের জন্য ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

অভিযোগ উঠে নামেমাত্র কাজ করে ৩০ জুনের মধ্যে ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার কাজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।

এসব অভিযোগ পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সরজমিন পরিদর্শন করে সংবাদ প্রকাশ করেন। সংবাদ প্রকাশের পর দুটি প্রকল্পের কাজ দেখতে মাঠে নেমেছে দুদকের পাবনা অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তদস্তে একের পর এক বেরিয়ে আসছে নানা অনিয়ম।

রায়গঞ্জ সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ সমিতির সভাপতি খায়রুজ্জামান খোকন আরও বলেন, প্রকল্পগুলোতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ যাদের সদস্য করা হয়েছে তারা এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ তাদের কার্যক্রম। অথচ পুকুরের ধারে বসবাসকারী অসহায় মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জের গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী এস এম শাহরিয়া বলেন, এখন পর্যস্ত ৪টি পুকুরের গভীরতা মাপা হয়েছে। এর রিপোর্ট দুদকে জমা দেয়া হয়েছে।

দুদক পাবনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক ও নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্পে সরকারি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আমরা দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাঠে নেমেছি। প্রথমে নিমগাছি সমাজভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্প দেখছি পরে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি দেখা হবে।

ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/ওআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :