মানবাধিকারকর্মীর অমানবিকতা
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ১৪ বছরের এক গৃহকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক মানবাধিকারকর্মীর বিরুদ্ধে।
১৪ বছর বয়সী নির্যাতিতা শিশুটির নাম হাওয়া আক্তার। বুধবার দুপুরে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১৬ নম্বর চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাওয়া আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার নগরচর গ্রামের সুনু মিয়ার মেয়ে।
উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত বলেন, নির্যাতনের খবর পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। মেয়েটির দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে। পায়ের পাতা ফোলা।
মেয়েটির পুরো পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহকর্তা শরিফ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাইমাকে আটক করা হয়েছে। শরিফ চৌধুরী নিজেকে মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত জানান, চার মাস আগে কিশোরগঞ্জ থেকে আসা মেয়েটি তার মামাতো বোন শাহনাজের মাধ্যমে দক্ষিণ বনশ্রী ১১ নম্বর সড়কের ৪৩ নম্বর বাড়ির ছয়তলায় শরিফ চৌধুরীর কাজ শুরু করে।
পুলিশ জানায়, কাজ না পারাসহ বিভিন্ন অজুহাতে মেয়েটিকে লোহার খুনতি দিয়ে পেটানো ও ছেঁকা দিয়ে নির্যাতন করতেন শরিফ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাইমা। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহকর্মীর পরিবারের লোকজন আসলে মামলা করা হবে। আর অভিযুক্ত শরিফ চৌধুরী নিজেকে একটি মানবাধিকার সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তবে সেটি এখন বন্ধ থাকায় তিনি এখন ব্যবসা করেন।
ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/এএ/ডব্লিউবি