দেশের প্রথম ডিজিটাল ভূমি অফিস ঝুঁকিপূর্ণ!

রফিকুল আলম, ফটিকছড়ি
  প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ০৮:২৬| আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৬, ১০:০৮
অ- অ+

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় দেশের প্রথম ডিজিটাল ভূমি অফিসের কাজ চলছে পরিত্যক্ত দুটি ভবনে। জীবনের ঝঁুঁকি নিয়ে সেখানে কাজ করছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও অন্য কর্মচারীরা।

বছরে কোটি টাকার ওপরে রাজস্ব আদায় করে এলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে জানা যায়, ভূমি অফিসটি নিজস্ব ২৪ শতক জায়গায় সেমিপাকা টিনশেটে ছিল। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরে অস্থায়ীভাবে অফিসের কার্যক্রম শুরু হয় তৎকালীন ম্যাজিট্রেট কোর্ট ভবনে।

চার-পাঁচ বছর আগে ম্যাজিস্ট্র্রেট কোর্ট চালু হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে সেখান থেকে উপজেলা ভূমি অফিস স্থানান্তর করা হয় উপজেলা পরিষদের ভেতরে পরিত্যক্ত পরিবার পরিকল্পনা ও খাদ্য অফিসে। এ দুই ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের একটি কক্ষ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এক ভবনের নিচে জনগণ সেবা না পেয়ে প্রতিনিয়ত তিন ভবনের তিন দিকে ছুটে চলছে।

ভূমি অফিসের বর্তমান কার্যালয় পরিত্যক্ত ভবন দুটির দরজা-জানালা, ভবনের বিভিন্ন কক্ষের ছাদ প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ছে, আর সাময়িক সংস্কার করা হচ্ছে। আবার বর্ষাকালে ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

সরেজমিনে আরো দেখা যায়, অফিসের কানুনগো কক্ষে ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে; দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অথচ এ ভূমি অফিসে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম (বর্তমানে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার) দেশের প্রথম অটোমেশন ও ডাটা কানেকটিভিটির সূচনা করেন। পরে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল মান্নান (যুগ্ম সচিব) তা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় উদ্বোধনী ফলকে অফিস আধুনিকায়নের উদ্বোধন লেখা থাকলেও এখনো আধুনিকায়ন হয়নি।

ভূমি অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, উপজেলার ১৭টি চা-বাগান ও সরকারি- বেসরকারি ১২টি রাবারবাগান, প্রচুর ব্যক্তিমালিকানা জায়গা থেকে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে এই ভূমি অফিস। গত তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১১ লাখ টাকা এবং জানুয়ারি থেকে সেপ্টম্বর পর্যন্ত নামজারি খাত থেকে ডিসিআরের মাধ্যমে ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০ টাকা রাজস্ব আদায় করে। সব মিলিয়ে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬ শত টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে এ ঝুঁকিপূর্ন ভবনে বসে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নাজিমুল হায়দার বলেন, পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে কাজ না করে উপায় নেই। সেবা নিতে আসা মানুষ কষ্ট পাবে বিধায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘শুনেছি এ অফিসের নিজস্ব জায়গায় ভবন হবে। তবে কখন হবে তা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে এলে বলতে পারব।’

(ঢাকাটাইমস/৬অক্টোবর/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জুলাইয়ের প্রথম শহীদ সাংবাদিক ঢাকাটাইমসের হাসান মেহেদীর মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস হলেন আয়মন রাহাত
মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন
জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ: প্রধান উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা