মেয়েদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ‘পক্ষপাত’ যেখানে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৩২
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা তহবিলের বেশিরভাগ সহায়তাই মেয়েরা পায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি আর ভাগ বলতে চাই না, তাহলে অনেকে আবার হিংসা করতে পারে। তবে দেবার জন্য আমরা এটুকুই করি, যে মেয়েদেরকে আমরা বেশি দেই।’

বেগম রোকেয়া দিবসে সকালে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড নামে আমরা একটা ফান্ড করেছি। যার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষায়ও অর্থাৎ এমনকি কেউ ডিগ্রি, মাস্টার ডিগ্রি বা পিএইচডি বা তার ওপর কেউ পড়াশোনা করতে চায় তার জন্য এই শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সহযোগিতা দিয়ে থাকি, বৃত্তি দিয়ে থাকি। যার অধিকাংশ অর্থই মেয়েদের জন্য দেয়া হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল এই তহবিল নয়, সব বৃত্তিই মেয়েরা বেশি পায়। তিনি বলেন, ‘আমরা যে বৃত্তি দেই প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত, এই বৃত্তিও কিন্তু মেয়েরাই বেশি পায়।’

মেয়েদের প্রতি এই ‘পক্ষপাত’ কেন দেখানো হয়, তারও একটা ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘লেখাপড়া শিখে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে, আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারলে আর অধিকার নিয়ে কাউকে ভিক্ষা চাইতে হবে না।’

মেয়েদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সরকার নানা কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা একটা কথা বলতেন, একজন নারী যদি নিজে উপার্জন করে তাঁর আঁচলে যদি ১০ টাকা নিয়েও ঘরে ফেরে তাহলে সেই পরিবারে তার একটা মূল্য হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা, পরনির্ভরশীলতা না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। যারা দরিদ্র মেয়ে, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, যাতে করে তারা কিছু উপার্জন করতে পরে। প্রতিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদের অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’

আশ্রয়ন প্রকল্পে বিনা পয়সায় ঘরবাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রেও নারীদেরকে এক দিক থেকে সুবিধা দেয়া হয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পে বিনা পয়সায় ঘর করে দেই। দলিল করার সময় এটা নিশ্চিত করে দেয়া আছে যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো রকম যদি গণ্ডগোল হয় তাহলে বাড়ির মালিক বা ঘরের মালিক হবে মহিলা, পুরুষ না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে যে অর্থ দেয়া হয়, সেখানে মেয়েদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা আছে যাতে নারীরা ব্যবসা গড়ে তুলতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম নারী উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ করে। সেই আলোকেই এখন শিক্ষা, কর্মসংস্থান-সব দিক থেকেই নারীর উন্নয়নে পদক্ষেপ দেয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা লক্ষ্য করছি, একটু সুযোগ পেলে মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধার পরিচয় দিতে পারে তা আজকে প্রমাণিত সত্য। আমরা সেভাবেই আমাদেরকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ: আইএইএ প্রধানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রেয়াতি সুবিধা বাতিলের প্রতিবাদ, রেলের ভাড়া বাসের চেয়ে কম রাখার দাবি

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন চালু, ৩ জেলায় সতর্কতা 

বাড়ল হজ ভিসার আবেদনের সময়

উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন আজ

ঝড়ের আশঙ্কায় সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত

পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী

উপজেলা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইসির মনিটরিং টিম

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে: এডিবির আবাসিক প্রধান

থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :