নোবিপ্রবি’র হলে তাণ্ডবের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার

মুনাওয়ার আনজুম, নোবিপ্রবি থেকে
| আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:৪২ | প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১০:৩৯

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) আব্দুস সালাম হলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন আব্দুল হামিদ বাপ্পী (ফার্মাসি, ৪র্থ ব্যাচ), নাসির আহম্মেদ রানা (ইংরেজি ৮ম ব্যাচ), সাইফুল হক রুপু ( খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টি বিজ্ঞান,৮ম ব্যাচ), সাজ্জাদ শিহাব (ইংরেজি ৮ম ব্যাচ), জাহিদুর রহমান নাইম (ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১০ম ব্যাচ), নাসির হোসেন (অর্থনীতি, ১০ম ব্যাচ)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সালাম হলে হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি ড. অহিদুজ্জামান শনিবার রাতে বৈঠক করেন প্রক্টর মুশফিকুর রহমান, হল প্রভোস্ট ড. ইউসুফ মিয়া, সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। বৈঠকে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক চলাকালে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনায় দোষীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। ৩০ মিনিট বৈঠকের পর ভিসি ড. অহিদুজ্জামান সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে হামলার ঘটনায় জড়িত ছয় শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেন।

১৬ ডিসেম্বর আব্দুস সালাম হলে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা সভা এবং হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করে। খাবার বণ্টনের সময় স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ প্রমেলের সাথে টোকেন ছাড়া খাবার নিতে আসা আব্দুল হামিদ বাপ্পী অনুসারী শুভ, নাসিরসহ আরও অনেকের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তী সময়ে সিনিয়রদের হস্তক্ষেপে রাতেই ঘটনার মীমাংসা হয়।

পরে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে হঠাৎ করে হামিদ গ্রুপের অনুসারী রানা,রুপু, সিহাব, নাইম, নাসিরের নেতৃত্বে শতাধিক বহিরাগত সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে আবদুস সালাম হলে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও জিনিসপত্র তছনছ করে। হামলাকারীরা ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রতিটি কক্ষের দরজা, জানালার কাচ, চেয়ার-টেবিল এবং ছাত্রদের মোবাইল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করে।

শিক্ষার্থীদের কয়েকজন জানান, হামলাকারীরা ছাত্রদের কাছে থাকা টাকা ও বেশ কয়েকটি মুঠোফোন ও ল্যাপটপ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা কমপক্ষে ১৫ জন ছাত্রকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত দুইজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন সত্যজিৎ (২২), বিপ্লব (২২) । আহত অন্যদের শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তৎক্ষণাৎ সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি।পরবর্তী সময়ে আলোচনা করে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হবে।

ভিসি আরও বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হলে যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে তা নজিরবিহীন।যারা বহিরাগতদের নিয়ে এ তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :