যৌতুকের উপকারিতা জানাচ্ছে পাঠ্যবই!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০১৭, ১২:১৯

সমাজবিদ্যার স্নাতক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের পড়তে দেওয়া হয়েছিল একটি বইয়ের ফটোকপি করা অংশ। সেখানে এক পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে, ‘পণপ্রথা আছে বলেই খারাপ দেখতে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়! শ্বশুরবাড়িতে নববধূর সম্মান বাড়ে।’

ভারতের বেঙ্গালুরুর জেন্ট জোসেফ কলেজে এই নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ফেসবুকে ওই বিতর্কিত লেখাটির ছবি পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সমাজবিদ্যা বিভাগের এক ছাত্রী। সেখানে বলা হয়েছে, পণপ্রথা কুপ্রথা বলে স্বীকৃত হলেও অনেকে এর কিছু ভাল দিক আছে বলেও মনে করেন।

এরপর ‘পণপ্রথার কিছু ইতিবাচক দিক’ শিরোনামের তলায় সাতটি অনুচ্ছেদে লেখা আছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ‘সুদর্শন, সচ্চরিত্র, এমনকী বিয়েতে অনিচ্ছুক ছেলেদের পণ দিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে টেনে আনা যায়। পণের টাকায় স্বনিযুক্তি বাড়ে। গরিব অথচ প্রতিভাবান পাত্রেরা সেই টাকায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ভবিষ্যত গড়তে পারেন। পণের জন্য পারিবারিক ঐক্য বজায় থাকে।’

চলতি বছরের শুরুতে মহারাষ্ট্রের একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিদ্যার বইতে লেখা ছিল, ‘প্রতিবন্ধী বা খারাপ দেখতে মেয়েদের বিয়ে হওয়া মুশকিল। এক্ষেত্রে সেই মেয়েকে বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষ বেশি পণ চায়। বাধ্য হয়ে পণ দেয় মেয়েটির পরিবার।’

বিষয়টি নিয়ে হইচই হওয়াতে তদন্তের নির্দেশ দেয় মহারাষ্ট্র সরকার। বেঙ্গালুরুতেও কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এমন বিষয় কখনওই পাঠ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত নয়। বিষয়টি তারা সমর্থন করেন না। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/জেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :