সাইনাসের সমস্যা কাদের বেশি হয়? জানুন মুক্তির ঘরোয়া উপায়ও

ফিচার ও স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২৪, ১২:৪৫

সাইনাস আসলে কোনো রোগ নয়। সাইনাস আমাদের মাথায় অবস্থিত একটি প্রকোষ্ঠ, যার কাজ ভেন্টিলেশনকে ঠিক রাখা। সেই ভেন্টিলেশনের কাজে বিঘ্ন ঘটলে যে সমস্যা হয় তাকেই আমরা চলতি ভাষায় বলি ‘সাইনাস’। ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম ‘সাইনোসাইটিস’।

আমাদের মুখমন্ডলের হাড়ের ভেতরে কিছু ফাঁপা জায়গা আছে, তাকে সাইনাস বলে। কোনো কারণে যদি সাইনাসগুলোর মধ্যে ঘা বা প্রদাহ হয়, তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। লক্ষণগুলো মূলত মুখ ও নাকে প্রদাহ, মাথাব্যথা, ঘ্রাণশক্তি লোপ ইত্যাদি হতে পারে। সাইনাস গাত্রে সর্দি, মিউকাস জমে এই প্রদাহের সৃষ্টি করে।

সাইনোসাইটিস সাধারণত এমন ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়, যাদের অন্তর্নিহিত অবস্থা যেমন অ্যালার্জি, বা নাকের গঠনগত সমস্যা এবং জন্মগতভাবে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কম অনাক্রম্যতা রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ভাইরাল সংক্রমণের কারণে হয়। হাঁপানি, সিস্টিক ফাইব্রোসিস এবং দুর্বল ইমিউন ফাংশনযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এই সমস্যা পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা বেশি।

লক্ষণসমূহ

মাথাব্যথা, মুখে ব্যথা। আক্রান্ত ব্যক্তি বাঁকিয়ে বা শুয়ে থাকলে আরও খারাপ হতে পারে। ব্যথা প্রায়ই মাথার একপাশে শুরু হয় এবং উভয় দিকে অগ্রসর হয়। এই সমস্যায় মাথাব্যথা বা দাঁতের ব্যথা থাকে। এই লক্ষণগুলো সাইনাস-সম্পর্কিত মাথাব্যথাকে অন্য মাথাব্যথা যেমন- টেনশন এবং মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে আলাদা করে।

তীব্র সাইনোসাইটিসের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশি, ক্লান্তি, হাইপোসমিয়া, অ্যানোসমিয়া এবং কানের পূর্ণতা বা চাপ।

সাইনাস ইনফেকশনের কারণে নাকের পথ আটকে যাওয়ার কারণে মধ্য-কানের সমস্যাও হতে পারে। এটি মাথা ঘোরা, ‘একটি চাপযুক্ত বা ভারী মাথা’ বা মাথার মধ্যে কম্পিত সংবেদন দ্বারা প্রদর্শিত হতে পারে। পোস্টনাসাল ড্রিপও দীর্ঘস্থায়ী রাইনোসাইনোসাইটিসের একটি উপসর্গ।

দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিসের লক্ষণগুলোর মধ্যে নাক বন্ধ হওয়া, মুখের ব্যথা, মাথাব্যথা, রাতের বেলা কাশি, পূর্বের ছোটখাটো বা নিয়ন্ত্রিত হাঁপানির উপসর্গের বৃদ্ধি, সাধারণ অস্বস্তি, ঘন সবুজ বা হলুদ স্রাব, মুখের পূর্ণতা বা আঁটসাঁট ভাব যা বাঁকানোর সময় আরও খারাপ হতে পারে। মাথা ঘোরা, ব্যথা দাঁত এবং দুর্গন্ধ। প্রায়ই, দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিস অ্যানোসমিয়া হতে পারে, ঘ্রাণশক্তি হারাতে পারে।

তবে চিন্তার কিছু নেই। কিছু ঘরোয়া খাবারেই সাইনাসের সমস্যাকে দূরে রাখা যায়। চলুন তবে জেনে নিই সেই খাবারগুলো সম্পর্কে।

স্যুপ জাতীয় খাবার

সবজি বা চিকেনের স্যুপ করে নিন। এবার সেই স্যুপ সারা দিনে দফায় দফায় গরম করে খান। স্যুপের পুষ্টিগুণ ও উষ্ণতা শরীরকে চাঙ্গা করে দেবে। কাজেও মন ফেরাবে।

ভেষজ চা

ভেষজ চা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এই ধরনের চায়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ। এই চা সর্দি কাশির মতো সমস্যায় বেশ রেহাই দেয়। এমনকি সাইনাসের সমস্যাও সারিয়ে তোলে।

হলুদ-দুধ

হলুদ মেশানো দুধই এই সমস্যায় বেশ কাজ দেয়। হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যন্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। এছাড়া, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে সহজে সাইনাস কাবু করতে পারে না।

গরম পানি

সাইনাসের সমস্যা থেকে যে জিনিস সহজে রেহাই দিতে পারে, তা আপনার হাতের কাছেই। তা হলো গরম পানি! গরম পানি এমনিই খেতে পারেন। অথবা এর মধ্যে এক চিমটি হলুদ ও গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন। এই পানি খেলে সাইনাসের ব্যথা উধাও হবেই।

দই ও ঠান্ডাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা

দই অনেকেরই প্রিয় খাবার। তবে এর থেকে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কাও থাকে। তাই দই ও ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললেই শরীর ভালো রাখা যায়। যদি খেতেই হয়, তাহলে সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়াই ভালো।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :