ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রীকে, চাওয়া হবে রিমান্ড

রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাইবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র ঢাকা টাইমসকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে তাকে আটক করে ডিবির সদস্যরা।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, মিডিয়া) তালেবুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘রাজধানীর কে বি কনভেনশন হলের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সুমাইয়া জাফরিন নামে এক নারীকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার নাসিরুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা তাকে পল্লবী এলাকা থেকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছি। তবে তিনি যে পুলিশে চাকরি করেন এমন তথ্য সঠিক না। আমরা তাকে প্রশিক্ষণ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’ অভিযোগ ছিল মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন স্বামীর সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ দিতেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাকে খুঁজছিল পুলিশ।
সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে ট্রেনিং করানো হয়। এই ঘটনার পর অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। যেখানে মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সেনাবাহিনী। তার বিষয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
এদিকে ৩১ জুলাই বিকালে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.নাজিম-উদ-দৌলা জানান, আওয়ামী লীগের কর্মীদের মেজর সাদিক নামে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে— এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এরপরেই তাকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/৭আগস্ট/এলএম)

মন্তব্য করুন