পটকা মাছের জীবন
এক সময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের গভীর অগভীর পানিতে হরহামেশা দেখা মিলতো পটকা মাছ । এই মাছ পানির ভেতর থেকে ডাঙায় অর্থাৎ মাটিতে তুলে আনা হলে , পেটের ভেতর বাতাস ঢুকিয়ে ফুটবল বানিয়ে ফেলে ।
নিজের আকৃতি পরিবর্তনে সক্ষম এই মাছটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য । মাছটি দেখতে খুবই সুন্দর । তবে, বিষাক্ত এই মাছ খেয়ে মারা গেছেন , এমন লোকের সংখ্যাও কম নয় ।
ময়মনসিংহেই নয় বাংলাদশের সকল স্থানেই দেখা মিলতো এই মাছের । বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেও এর প্রাপ্তি কম নয় । সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চীন, জাপান, ফিলিপিন্স, মেক্সিকোর আশেপাশের সমুদ্রেও দেখা মেলে এই অদ্ভুত মাছটির ।
মাছ গবেষক সূত্রে জানা গেছে, পটকা মাছেন দেহ অনেকটই গোলাকার, মাথা ও দেহখন্ড চওড়া হলেও শেষ ভাগ অর্থাৎ লেজ চিকন ।
মুখে ধাঁড়ালো চারটি দাঁত আছে । পটকা মাছ খেলে মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা আছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পটকা মাছ নিজেদের পেটের মধ্যে পানি ঢুকিয়ে দেয় । এতে বলের মত ফুলতে থাকে । আতœরক্ষা কিংবা ভয়ার্ত হলে নিজের তৈরি বলের ভেতর নিজেকে লুকিয়ে ফেলে ।পটকার এসব কা- দেখে শত্রুপক্ষ পালিয়ে যায়।
খাল-বিল , নদী-নালা, পুকুর- ডোবা ভরাট , কীটনাশক প্রয়োগ , পটকা মাছ খেলে মৃত্যুর ভয়সহ নানাবিধ কারণে চাষাবাদের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে , ময়মনসিংহ তথা বাংলাদেশের ঐহিত্যবাহী পটকা মাছ।
ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এমডি/ডব্লিউবি