রাজবাড়ীতে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ মার্চ ২০১৮, ২১:১৩

রাজবাড়ীর পাংশায় নিজ ঘর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা বেগম ও স্বামী মো. দেলবর আলী।

রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা খামার পাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ এ মরদেহটি উদ্ধার করে।

পাংশা পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড করেছে।

স্বজনেরা ও দেলবরের প্রতিবেশী ও স্থানীয় মাছপাড়া ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম জানান, দেলবর ও ঝর্ণা বেগমের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেরা কেউ বাড়িতে থাকে না। ১১ বছর বয়সী মেয়ে থাকে পাশের বাড়িতে। ঝর্ণা দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ছয়মাস আগে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এর কয়েকদিন পর তিনি বরিশালে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রান্নার কাজ নেন। ঝর্ণার এ কাজে রাজি ছিলেন না তার স্বামী দেলবর। দেলবরের সন্দেহ ছিল ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঝর্ণার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই তাদের ঝগড়া কলহ লেগে থাকত।

কয়েকদিন আগে ঝর্ণা বাড়িতে এলে দেলবর তাকে বরিশালে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু ঝর্ণা তার কথা না শুনে বরিশাল যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে গত পাঁচ-ছয় দিন ধরে কথা কাটাকাটি চলছিল।

নিহত ঝর্নার মেয়ে রাবেয়া জানান, তার মা দেশে ফিরে বরিশালে থেকে বাড়ি ফিরলেও সংসারের কাজ ফেলে সে সব সময় মোবাইলে অন্য লোকের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত থাকত। এ নিয়ে বাবার সাথে প্রায়ই ঝগড়া হত। গত রাতে ঘটনার সময় রাবেয়া পাশের বাড়িতে ঘুমিয়েছিল।

রবিবার সকালে মেয়ে রাবেয়া দরজা খুলতে বললে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর দরজা না খোলায় বেড়ার নিচ দিয়ে দেখতে পান ঝর্ণা বেগমের লাশ বিছানায় পড়ে আছে। আর ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে পিতা দেলবর আলীর লাশ। পরে পুলিশে খরব দেয়।

নজরুল ইসলাম আরো বলেন, সকাল ৮টার দিকে তাদের মেয়ে ঘুম থেকে উঠে পাশের বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। এসময় সে তার বাবা-মাকে ডাকাডাকি করলে ঘরের দরজা না খোলায় সে জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। এসময় সে তার বাবা মায়ের মরদেহ দেখে চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি ঝর্ণার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। তার ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের তিনটি কোপের চিহ্ন রয়েছে।

এদিকে, দেলবরের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। এ দৃশ্য দেখে তাৎক্ষণিক আমি থানায় ফোন করি।

সহকারী পুলিশ সুপার পাংশা সার্কেল মো. ফজলুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড করেছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

(ঢাকাটাইমস/১১মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :