ধুনটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না ‘বালুদস্যুরা’

বগুড়ার ধুনটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় অমান্য করে ইছামতি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে আবারও বালু উত্তোলন করছেন ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। আদালতের রায় অমান্য করে আবারও বালু উত্তোলন করায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, চিকাশী ইউনিয়নের ঝিনাই ছোটচাপড়া গ্রামের ইছামতি নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন জয়শিং গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। গত ২ জুলাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাত রেহেনা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ফরহাদ হোসেন ও তার সহযোগী নান্দিয়াপাড়া এলাকার ওমর ফারুককে আটক করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন। পরে অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করায় তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসময় বালু উত্তোলনের সরঞ্জমাদিও ধ্বংস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের দুই দিন পর থেকেই আবারও ওই নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন ওই যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা।

ছোট চাপড়া গ্রামের আজিবর রহমান ও মর্জিনা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে আবারও বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। নদীর গভীর তলদেশ থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমি ও বসতভিটা ভাঙনের কবলে পড়েছে।

এ ব্যাপারে বালু ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একজনের কাছ থেকে চুক্তি নিয়ে কয়েক দিনের জন্য বালু তুলছি। জরিমানা দেওয়ার পর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবার বালু উঠাচ্ছি।’

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় অমান্য করে বালু উত্তোলনের অভিযোগ শুনেছি। বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)