আরও ৩৮ বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৭:৪৫

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নির্যাতিত আরও ৩৮ জন বীরাঙ্গনার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৫৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে সম্প্রতি গেজেট জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

নীলফামারীর জলঢাকার মোছা. শাহেলা বেগম, ঠাকুরগাঁও সদরের মোছা. আমেনা বেওয়া এবং লালমনিরহাট সদরের শেফালী রানী, মোছা. রেজিয়া, মোছা. মোসলেহা বেগম এবং শ্রীমতি জ্ঞানো বালা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

চট্টগ্রামের পটিয়ার আছিয়া বেগম, ফেনীর ছাগলনাইয়ার রহিমা বেগম এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আফিয়া খাতুন খঞ্জনীকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।

জয়পুরহাট সদরের মোসা. জাহানারা বেগম, নওগাঁ সাপাহারের মৃত পান বিলাসী, নাটোর বড়াইগ্রামের মোছা. হনুফা এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশের অর্চনা সিংহ ও মৃত পচি বেওয়া মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মোছা. ওজিফা খাতুন, দয়ারানী পরামানিক ও মোছা. রাবেয়া খাতুন; কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাছুদা খাতুন মোছা. মোমেনা খাতুন ও মোছা. এলেজান নেছা; কুষ্টিয়া সদরের মৃত রাজিয়া বেগম এবং বাগেরহাটের রামপালের মোসা. ফরিদা বেগমের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিলেছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মোছা. মহিরন বেওয়া, মোছা. আকিরন নেছা, মোছা. জতিরন বেওয়া, মোছা. হোসনে আরা, মোছা. হাজেরা বেগম (পিতা মৃত উমেদ আলী) ও হাজেরা বেগম (পিতা মৃত হাসেন আলী) এবং শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মৃত ফিরোজা খাতুনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।

শরীয়তপুর সদরের জুগল বালা পোদ্দার, যোগমায়া ও সুমিত্রা মালো; গোপালগঞ্জ সদরের হেলেনা বেগম ও ফরিদা বেগম এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জের মোসা. আনোয়ারা বেগমের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিলেছে।

এছাড়া ঝালকাঠি সদরের সীমা বেগম ও মোসা. আলেয়া বেগম এবং হবিগঞ্জের মাধবপুরের সন্ধ্যা ঘোষকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এনিয়ে ২৩১ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আগেই জানিয়েছেন, ৪০০ থেকে ৫০০ জন বীরঙ্গনাদের তালিকা নিয়ে কাজ করছেন তারা, পর্যায়ক্রমে সবাইকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধের চার দশক পর ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরের বছরের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।

ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এমএম/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে মিশরের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা

শাহজালালে তিনদিন রাতে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

দুই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি

আট দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: শিডিউল বিপর্যয়ে দিনভর যাত্রীদের ভোগান্তি

মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ভাঙ্গা থেকে পায়রা পর্যন্ত এলিভেটেড রেললাইন হবে: রেলমন্ত্রী

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলীর জানাজা বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে

কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ: বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, চলাচলে ভোগান্তি

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :