এক জীবনে

বাদল সরকার: তাঁর তৃতীয় থিয়েটার

সুধীর কৈবর্ত
  প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০১৮, ১২:১৫
অ- অ+

তৃতীয় থিয়েটারের ধারণাটা উপমহাদেশের গণমুখী নাট্যধারার অন্যতম পথিকৃৎ বাদল সরকারের। তাঁর এ ধারণা নিয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, “যদি কেউ কোনো সামাজিক তাগিদে থিয়েটারকে ব্যবহার করতে চান এবং তাঁর কাছে প্রথম বা দ্বিতীয় থিয়েটারের (বাদল সরকারের চোখে, প্রথম থিয়েটার ‘লোকনাট্য’ আর দ্বিতীয় থিয়েটার ‘নগরনাট্য’) কোনোটাকেই সম্পূর্ণভাবে উপযোগী বলে মনে না হয়, তবে তাঁকে অনুসন্ধান করে একটি বিকল্প থিয়েটার তৈরি করতে হয়। যদি আংশিকভাবেও তা তৈরি হয়, তবে তাকে ‘তৃতীয় থিয়েটার’ নাম দেওয়া অযৌক্তিক বোধ হয় হবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা আমাদের থিয়েটারকে তৃতীয় থিয়েটার (থার্ড থিয়েটার) আখ্যা দিয়েছি।”

বাদল সরকার লোকনাট্যের সঙ্গে তৃতীয় থিয়েটারের মিল-অমিলের বিষয়টিও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “এই থিয়েটারে বাহ্য রূপে কিছু ক্ষেত্রে লোকনাট্যের সঙ্গে মিল আছে, কিন্তু পার্থক্য তার তুলনায় অনেক বেশিÑ বিষয়বস্তুর দিক থেকে তো বটেই, আঙ্গিকেও। তৃতীয় থিয়েটার নমনীয় (ফ্লেক্সিবল), বহনীয় (পোর্টেবল) এবং সেই কারণেই সুলভ (ইনএক্সপেনসিভ)। ফলে তৃতীয় থিয়েটার টাকার উপর নির্ভরশীল নয়। টিকিট না বেচে, কোনোরকম অনুদান গ্রহণ না করে, শুধুমাত্র অভিনয় শেষে দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত দানের উপর ভিত্তি করে এই থিয়েটার চালানো সম্ভব...।”

এ প্রসঙ্গে তিনি প্রমাণ হিসেবে নাম করেন ‘শতাব্দী’ নাট্যগোষ্ঠীর। এই আন্দোলনের অন্য কটি দল পথসেনা, আয়না নাট্যগোষ্ঠী, ঋতম, সমিধ, হালি শহর সাংস্কৃতিক সংস্থা, তীরান্দাজ ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নাট্যদলের নামও উঠে আসে বাদল সরকারের বক্তব্যে।

বাদল সরকার আরও বলেন, “তৃতীয় থিয়েটার শুধু থিয়েটারের এক আঙ্গিকগত চেহারা নয়, তৃতীয় থিয়েটার একটি দর্শন। এমনকি একে ব্যাপক অর্থে একটি রাজনীতিও বলা চলে। কী বলতে চাই, অর্থাৎ বিষয়বস্তু (কনটেন্ট) এখানে প্রথম কথা, কেমনভাবে বলবো, অর্থাৎ আঙ্গিক (ফর্ম) আসে পরে।”

তৃতীয় থিয়েটারে বিষয়বস্তুকে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ও তীব্রভাবে কোন্ আঙ্গিকে প্রকাশ করা যায়, তার অনুসন্ধান প্রতিটি প্রযোজনায় প্রায় নতুন করে করার বিষয়টির উল্লেখও বাদল সরকার তাঁর বক্তব্যে করেন।

ঢাকায় বাদল সরকার

বাদল সরকারের তৃতীয় থিয়েটার তাঁরই পরিচালনা আর অভিনয়ে দেখার সুযোগ ঢাকার দর্শকদের হয়েছে। সেটা ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে। ‘উন্মুক্ত নাট্য উৎসব’ নামে ওই পরিবেশনার আয়োজক ছিল গণনাট্য সংস্থা আর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। অভিনয় স্থানটা ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম-দক্ষিণ গেটের অদূরে উদ্যানের ভেতর দিকের কদমতলার নিচে। গাছের নিচে পশ্চিমমুখো করে টানানো হয় তাঁবু। তাঁবুর সামনে ফাঁকা দূর্বা ছাওয়া স্থানে তৃতীয় থিয়েটার মঞ্চায়নের ব্যবস্থা। ওই উন্মুক্ত নাট্য উৎসব উপলক্ষে বের করা হয় একটি সূচিপত্র। যাতে তুলে ধরা হয় তৃতীয় থিয়েটারের ধারণা বাদল সরকারের জবানিতে। প্রকাশ করা হয় তাঁর জন্ম-তারিখ (১৫ জুলাই, ১৯২৫), তাঁর অধ্যয়ন, পেশাজীবন, নাট্যজীবন ও নাট্যরচনা। বাদল সরকার শতাব্দী নাট্যসংস্থার প্রতিষ্ঠাতা (১৯৬৮)। একজন নাট্যতাত্ত্বিক বাদল সরকার সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, জওহরলাল নেহেরু ফেলোশিপ, কালিদাস সম্মাননায় ভূষিত হন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৃতীয় থিয়েটার প্রদর্শনের দিনক্ষণ, নাট্যদল আর নাটকগুলোর নাম সূচিপত্রে স্থান পায় স্বাভাবিকভাবেই। তৃতীয় থিয়েটারের মঞ্চায়ন হয় চার দিন। ১৯৯৭ সালের ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ অক্টোবর। মঞ্চায়ন আরম্ভ করা হয় বিকেলে। তৃতীয় থিয়েটার মঞ্চায়ন নিয়ে ‘দৈনিক বাংলা’য় রিপোর্ট করেন এই লেখক।

ঢাকার সোহরাওয়র্দী উদ্যানের সবুজ দূর্বা ছাওয়া অঙ্গনে ২৫ অক্টোবর, শনিবার বিকেলে বাদল সরকারের তৃতীয় থিয়েটার মঞ্চায়নের সূচনা করা হয় ‘হট্টমালার ওপারে’ নাটকটি দিয়ে। এটির প্রযোজনা করে শতক দল। বাদল সরকারের এ নাটকে শিল্পীদের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। নদীর স্রোত, গাছগাছালি, পাখির ডাক এ সবকিছুই শিল্পীরা নিপুণ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে জীবন্ত করে তোলেন। হট্টমালার ওপার-এর বিষয়বস্তু, ‘সাধ্যমতো খাটবো সবাই, যার যা দরকার নিয়ে যাবো’Ñএই নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সমাজ আমাদের স্বপ্ন। গ্রাম্য দুই অশিক্ষিত সিঁধেল চোরের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই স্বপ্নের ছবি এই নাটকে। যাকে রূপকথা বলা চলে, তবে যে রূপকথা সত্যি হলে ভালো হতো। এ নাটকে অভিনয় করেন সুমিত বিশ্বাস, অতনু মজুমদার, দীপংকর বন্দ্যোপাধ্যায়, সংঘমিত্রা দে, কৃষ্ণা ঘোষ প্রমুখ। এর আগে শতাব্দী নাট্যদল-এর প্রযোজনায় ‘হট্টমালার ওপার’-এর প্রায় দেড়শবার মঞ্চায়ন হয়।

২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মঞ্চস্থ করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘রক্তকরবী’। প্রযোজনা করে কলকাতার নাট্যগোষ্ঠী ‘পথসেনা’। ‘রক্তকরবী’র মতো একটি বহু প্রদর্শিত আর ব্যাপক আলোচিত নাটক উন্মুক্ত মঞ্চে সাদামাটাভাবে উপস্থাপন করে ঢাকার দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখার মতো অসাধারণ কাজটি করেন বাদল সরকার। দীপ্তি মুখোপাধ্যায়, জয়গোপাল চক্রবর্তী, অতনু মজুমদার, সুমিত বিশ্বাস, রীতা মুখোপাধ্যায় প্রমুখ অভিনয় করেন ‘রক্তকরবী’তে।

বাদল সরকার অভিনয় করলেন ভোমা নাটকে

বাদল সরকার ৭২ বছর বয়সেও অভিনয় করলেন। ‘শতক’ প্রযোজিত ‘ভোমা’ নাটকের প্রধান চরিত্রটিতে রূপদান করতে হলো তাকে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছগাছালি ঘেরা, দূর্বা ছাওয়া জমিনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হলো। অপর দুটি নাটক ‘আয়না’ প্রযোজিত ‘বাঘ’ এবং ‘হায় বাংলা হায় বেহুলা’। ‘হায় বাংলা হায় বেহুলা’ ঢাকার একটি নাট্য গ্রুপ প্রযোজিত (শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র)। ‘বাঘ’ ও ‘ভোমা’ এ দুটি নাটকই লিখেছেন বাদল সরকার।

সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মঞ্চস্থ হয় ‘বাঘ’ ও ‘হায় বাংলা হায় বেহুলা’। সন্ধ্যায় শুরু হয় ‘ভোমা’। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সোমবার ‘খাটমাট ক্রিং (বাদল সরকার রচিত) এবং ভোমা মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সূচির কিছুটা রদবদল হয়ে ‘খাটমাট ক্রিং’-এর স্থলে ‘বাঘ’ মঞ্চস্থ হয়।

‘ভোমা’ করা নিয়ে ‘শতক’ সমস্যায় পড়েছিল। এ নাটকের প্রধান চরিত্রের অভিনেতা ভিসা না পাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে আসতে পারেননি। তিনি রোববার এসে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছিল এবং তা রোববার রাতে ঘোষণাও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি না আসায় ‘শতক’ ‘ভোমা’র সেই চরিত্রটিতে বাদল সরকারকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। শুরুতে এ চরিত্রে বাদল সরকারই অভিনয় করতেন। কিন্তু তাঁর বয়স বেড়ে যাওয়াতে অনেকটা জোর করেই তাঁকে ওই চরিত্রে অভিনয় করা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ‘শতক’-এর পক্ষ থেকে ঘোষক একথাই জানালেন। ঘোষকের মুখ থেকে ‘বাদল সরকার ‘ভোমা’য় অভিনয় করবেন’ উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে সোঁদা গন্ধে ভরা দূর্বার ওপর বসে ও দাঁড়িয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ হাজারের ওপর দর্শক করতালিমুখর হয়ে উল্লাস প্রকাশ করলেন। কাউকে কাউকে বলতে শোনা গেল, ‘বাদল সরকারের অভিনয় দেখবো, আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।” ‘ভোমা’য় বাদল সরকার এ বৃদ্ধ বয়সেও দাপটে অভিনয় করলেন। প্রতিজন নারী-পুরুষ দর্শক তন্ময় হয়ে দেখলেন ‘ভোমা’ এবং এর প্রতিটি চরিত্রের অভিনয়।

‘ভোমা’ মঞ্চস্থ হওয়ার পর বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয় বাদল সরকারকে সোমবার অন্তত এক ঘণ্টা একাডেমির বিশেষভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য। কিন্তু বাদল সরকার তা অনেকটা বিরক্তি ভরেই প্রত্যাখ্যান করলেন। তিনি জানালেন, হাতে মোটেই সময় নেই। সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত আমার প্রোগ্রাম রয়েছে। আমি তো সেই ৮ তারিখে এসেছি। অন্যরা পাসপোর্ট ভিসার ঝামেলায় আসতে দেরি করছিল। টেনশনে ছিলাম। এত দিন সময় ছিল, তখন তো কেউ ডাকেনি। আগামীতে একা আসবো। তখন বলবেন, যত পারি বলে যাব।

উন্মুক্ত নাট্যোৎসব সমাপ্ত

বাড়তি প্রাপ্তি বলতে যা বোঝায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর, ১৯৯৭) তাই জুটেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৃতীয় ধারার নাটক দেখতে আসা দর্শকদের বরাতে। বাদল সরকার মঙ্গলবারও অভিনয় করেন। শতাব্দী প্রযোজিত ‘ভুল রাস্তা’ নাটকে নির্ধারিত শিল্পী কল্যাণের গলার স্বর বসে যাওয়ায় শূন্যস্থান পূরণ করলেন বাদল সরকার।

গণসাহায্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত উন্মুক্ত নাট্য উৎসবের শেষ দিনে মঙ্গলবার দুটি নাটক মঞ্চস্থ হয়Ñশতাব্দী প্রযোজিত ও বাদল সরকার পরিচালিত ‘ভুল রাস্তা’ এবং পথসেনা প্রযোজিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’। রক্তকরবীও পরিচালনা করেন বাদল সরকার। ‘ভুল রাস্তা’র মঞ্চায়ন শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। এটি একক অভিনীত এবং গল্প বলার নাটক (স্টোরি টেলিং থিয়েটার)। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও অন্যান্য এলাকায় প্রচলিত গল্প বলা থেকে নিয়ে ‘ভুল রাস্তা’ নাটক লিখেছেন বাদল সরকার। এ নাটকের শুরু থেকে তিনিই অভিনয় করতেন একমাত্র চরিত্রে। কিন্তু বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে তাঁকে বাদ দেয়া হয়েছিল। অনেক দিন পর তিনি বিচিত্র পোশাক পরে হিন্দি উচ্চারণে বাংলা আবার হিন্দির মিশেলে কথা বলে গান গেয়ে আধা ঘণ্টা ধরে গল্প বলে গেলেন।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় ও শেষ নাটক ‘রক্তকরবী’র মঞ্চায়ন শুরু হয় রাত পৌনে ৭টায়। এর আগে গণসাহায্য সংস্থার প্রধান ড. ফ ব মাহমুদ হাসান উন্মুক্ত নাট্য উৎসব আয়োজনের উদ্দেশ্য এবং এর আয়োজন করতে গিয়ে তাদের যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে তা তুলে ধরলেন। তিনি বাদল সরকারের নেতৃত্বে আসা শতাব্দী, শতক, আয়না ও পথসেনার সকল সদস্য এবং দর্শককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ আয়োজনে সহযোগিতা করায় তিনি বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময়ে শিল্পকলা একাডেমির নাট্য বিভাগের পরিচালকের বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে ড. মাহমুদ হাসানই বাদল সরকার এবং তার সহশিল্পী এবং দর্শকদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, উন্মুক্ত নাট্য উৎসবের শুরুতে অনেকেই বলেছিলেন দিনের বেলা উন্মক্ত স্থানে নাট্য মঞ্চায়নে দর্শক হবে না। তিনি দর্শক সম্পর্কে বাদল সরকারের মনোভাব ব্যক্ত করে বলেন, তাঁদের ইতিপূর্বের মঞ্চায়নে অন্য কোথাও ঢাকার মতো এত বেশি দর্শক হয়নি।

‘রক্তকরবী’র মঞ্চায়ন শেষ হয় রাত ৮টার দিকে। ড. হাসান এ পর্বে বাদল সরকার এবং চারটি নাট্যদলের কুশীলবদের দর্শকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। পরিচয় পর্বে শেষটায় বাদল সরকারের নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত দু সহস্র নর-নারীর মধ্যে করতালি, উল্লাসের ঝড় উঠে যেন। বাদল সরকারের উদ্দেশে উচ্চারিত হয়, ‘গুরুÑগুরুÑগুরু, বাদল সরকার দীর্ঘজীবী হও।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাড্ডায় চাঞ্চল্যকর আনোয়ার হত্যা: গ্রেপ্তার নূরার রিমান্ডে দেওয়া তথ্যে মিলল বিদেশি পিস্তল
খাদ্য পরিদর্শককে অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার
সাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেবেন ট্রাম্প
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা