কারাগারের আদালতে খালেদার অনুপস্থিতিতেই শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৮ | প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:২০

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন আদালত। মঙ্গলবার ফের এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন ও জামিন বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। বিচারক যুক্তিতর্কের আবেদন ও জামিন বৃদ্ধির আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার পর্যন্ত মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের দিন নির্ধারণ করেন। এছাড়া খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন বিচারক।’

তিনি আরো জানান, এ মামলায় আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম মুলতবি চেয়ে সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মামলার যুক্তি উপস্থাপন করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আসামিপক্ষ যদি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করে, তাহলে রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হোক।’

পরে দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির মামলার কার্যক্রম মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এ সময় জিয়াউল ইসলাম মুন্নার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামের আইনজীবী আদালতে লিখিতভাবে অনাস্থার আবেদন দেন। পরবর্তী সময়ে আদালত মুন্নার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

আর গত ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানির এক সপ্তাহ আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় শেষ শুনানি হয়েছে। এই মামলায় আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পর খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষেই আসত রায়।

তবে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর অসুস্থতার কথা বলে আর আদালতে যাননি এবং এ কারণে মামলাটি ঝুলে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনে কারাগারেই আদালত বসে।

৫ সেপ্টেম্বর শুনানিতে উপস্থিত হয়ে খালেদা জিয়া জানান, তিনি অসুস্থ এবং আর আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি অনুপস্থিত থাকেন এবং এ সময় দুদক তার অনুপস্থিতিতেই বিচারের আবেদন করে।

ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :