দারোগাকে পিটিয়ে ছাত্রলীগের অস্ত্র ছিনতাই, পরে ফেরত

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একজন নারীর সোনার চেইন ছিনতাইকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক দারোগাকে পিটিয়ে গুলিভর্তি পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পিস্তলটি ফেরত দেয়া হয়।

শনিবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের টেলাপাড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বলাইখা এলাকার মাহমুদ ও তার স্ত্রী মৌটুসী সন্ধ্যার পর আমলাব এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে শিংলাব এলাকায় একদল যুবক তাদের পথ আটকে মৌটুসীর গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।

পরে এই দম্পতি ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন। পুলিশ ফাঁড়ির দারোগা নাদিরুজ্জামান, এএসআই রাশেদ, এটিএসআই ফারুক ও কনস্টেবল কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করেন। একপর্যায়ে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হামজালাকেও আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় হামজালার সহযোগীরা দারোগা নাদিরুজ্জামানের ওপর হামলা চালান। তাদের মারধরে দারোগার মাথা ফেটে যায়। একপর্যায়ে নাদিরুজ্জামানের কোমরে থাকা পিস্তলটি খোয়া যায়।

উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা আহত দারোগা নাদিরুজ্জামানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে পুরো এলাকা।

দারোগার ওপর হামলা ও মাথা ফাটিয়ে গুলিভর্তি পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) থানা পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করে। পরে পুলিশ প্রশাসনের চাপের মুখে পিস্তলটি ফিরিয়ে দেয়া হয়।

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, ঘটনাস্থলের কাছে কচুরিপানার ভেতর থেকে গুলিভর্তি পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, হামজালার নেতৃত্বে তার লোকজন ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে ভুলতাসহ আশপাশের এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী কর্মকা- করে আসছে। তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হক বলেন, এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/মোআ)