দেশে বাড়ছে মেরুদণ্ডের রোগীর সংখ্যা

দেশে মেরুদণ্ডের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে শারীরিকভাবে পুরোপুরি অক্ষম হয়ে পড়েন বলে জানান তারা। এই রোগের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে বিশেষ বিভাগ খোলা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএনএম অডিটোরিয়ামে নিউরোস্পাইন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালায় তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ভিসি বলেন, ‘নিউরোস্পাইনসংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত অনেক রোগীর প্যারালাইজড হয়ে যায়। অনেক রোগী শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে। নিউরোস্পাইন বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দক্ষতা যেমন বাড়াবে তেমনি এ ধরনের রোগীদের কল্যাণ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিউরোস্পাইনের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের সেবার পরিধি বাড়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোস্পাইন উইং চালুসহ প্রয়োজনীয় পদসমূহ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

স্বাগত বক্তব্যে নিউরোস্পাইন সোসাইটি অফ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘দেশে মেরুদ-ের রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে প্রায় দেড়শ জন নিউরো সার্জন মস্তিষ্কের পাশাপাশি মেরুদ-ের রোগীদের সার্জিক্যাল চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এরই প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালে নিউরোস্পাইন সোসাইটি অফ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি দেশের নিউরোস্পাইন সার্জনদের সার্জারি দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতার আজকের এই জাতীয় সম্মেলন ও ক্যাডাবেরিক ওয়ার্কসপ।’

মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা আসার পরপরই দেশে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইন্স প্রতিষ্ঠা করেন। স্পাইনাল নিউরোসার্জারি ইউনিট চালু করেন। আরও আশার কথা হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া সম্প্রতি নিউরোসার্জারি বিভাগে স্পাইনাল নিউরোসার্জারির পদ সৃষ্টি করেছেন। বিএসএমএমইউয়ের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের সব মেডিকেল কলেজে স্পাইনাল নিউরোসার্জারির পদ সৃষ্টি এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/এএ/জেবি)