লালমনিরহাট বিমানবন্দরের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু

জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু করতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে বিমান বাহিনী। বুধবার এ বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো দিনভর পরীক্ষামূলক দুটি ফিক্সড উইং বিমান একাধিক বার সফলভাবে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে।

আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)ও বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর অধিনায়ক স্কোয়াড্রোন লিডার খায়রুল মামুন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট বিমান বন্দরটি চালু করতে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই বন্দরটির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ফিক্সড উইং (এল ৪১০) উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে নিরাপত্তা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। বিমান বাহিনীর প্রধান (গত ১৩ মার্চ) বন্দরটি পরিদর্শন করে এই বিমানে উড্ডয়ন করে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন বলেও ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়।

জানা গেছে, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়নের এক হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৯৩১ সালে এ বিমান ঘাঁটি তৈরি করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি অব্যবহৃত হিসেবে জৌলুস হারাতে বসে। তবে ১৯৫৮ সালে স্বল্পপরিসরে বিমান সার্ভিস চালু হলেও তা বেশি দিন আলোর মুখ দেখেনি।

দেশ স্বাধীনের পর এ বিমানবন্দর বিমান বাহিনীর হেডকোয়ারটার করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা পরিত্যক্ত থেকে যায়। ফলে চার কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক, হ্যাঙ্গার, ট্যাক্সিয়ে- এগুলো সবই পরিত্যক্ত থেকে যায়। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে কৃষি প্রকল্প গড়ে তুলে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাসপোর্টধারী ভারত, ভুটান ও নেপালের যাত্রীদের আকাশপথে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এ বিমানবন্দর। এ ছাড়াও স্থলবন্দরসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে বিমান বন্দরটি চালু করনে দীর্ঘদিন দাবি করে আসছে জেলাবাসী। এ দাবি পূরণে বর্তমান সরকার বিমান বন্দরটি চালু করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩মার্চ/জেবি)