বর্ষবরণে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি

মেহেদি জামান লিজন, জাককানইবি
 | প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৩৫

বসন্তকে বিদায় জানিয়ে আসছে নতুন বছর। বাংলা নববর্ষ বাঙালির জীবনে একটি আনন্দময় উৎসব হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে উদযাপিত হয়ে আসছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ পহেলা বৈশাখ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করে থাকেন।

নতুন বছর বরণ করে নিতে ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত দুই সপ্তাহ অক্লান্ত পরিশ্রম আর ব্যস্ত সময় পার করে সম্পন্ন করেছেন আয়োজন।

প্রতিবারের মতো এবারও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকী মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৈশাখী উৎসব পালনের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মব্যস্ততায় দিন পার করছেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি বাঁশের চটা আর কাঠ দিয়ে শত ফুট লম্বা বিশাল আকৃতির ময়ূরপঙ্খী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ। সঙ্গে অনুষাঙ্গিক সহায়ক হয়ে থাকবে কাল্পনিক ঘোড়া, মোরগ, পেঁচাসহ গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী অনেক কৃর্তি। হুতুম পেঁচা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহসহ বিভিন্ন আকৃতির তিন শতাধিক মুখোশ, প্ল্যাকার্ড, বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন প্রতিকৃতি দিয়ে বাঙালি সাজ-সজ্জার বেশ অনেকগুলো উপকরণ বহন করে ওইদিন সকাল ৯টায় বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষবরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রাবণী দাস, দিলারা রাইসা, প্রীতিলতা মণ্ডল, শর্মিষ্ঠা রায়, খাদিজা আক্তার মলি, বৃষ্টি পাঠান, নবনীতা চৌধুরী ও বিভাসহ অন্যরা ঢাকাটাইমসকে জানান, বাঙালির গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বুকে লালন করে রাখতে পহেলা বৈশাখে আমরা সাজব বাঙালির সাজে। সাথে যোগ হবে চৈত্র সংক্লান্তি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পৌরশহরের বেশ কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও আমাদের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে। বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্যর সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের এবারের আয়োজন বেশ জমকালো।

চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুম হাওলাদার জানান, আমরা প্রতি বছর চেষ্টা করি সব চেয়ে ভালো আয়োজন করার। এ বছর পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রধান আকর্ষণ হবে শত ফিট লম্বা বিশাল আকৃতির ময়ূরপঙ্খী। এছাড়া হুতুম পেঁচা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহসহ বিভিন্ন আকৃতির তিন শতাধিক মুখোশ, প্ল্যাকার্ড, বাংলার লোকায়ত সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন প্রতিকৃতি দিয়ে বাঙালি সাজ-সজ্জার বেশ অনেকগুলো উপকরণ থাকবে। থাকবে ঐতিহ্যবাহী পান্তা ইলিশ, বসবে গ্রামীণ মেলা, বিভিন্ন বাংলা ঐতিহ্যের সরঞ্জামাদি নিয়ে বিভিন্ন স্টল। এবারের আয়োজনে ব্যতিক্রমী যাত্রাপালা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিনয়ে নির্মিত এ যাত্রাপালাটিতে বাঙালি সাংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানিয়া তন্বী জানান, আমরা এবারই প্রথম বাংলা বর্ষকে বরণ করতে যাত্রাপালায় অভিনয় করছি। বাঙালির ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়েছে।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা অশুভকে দূর করা, সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতীক। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালির ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিগত সব ধরনের বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর হচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আল্টিমেটাম

ইবি বিজনেস ক্লাবের যাত্রা শুরু; সভাপতি নাজিম, সম্পাদক রাফায়েল

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হলেন পাবনার দুলাল

স্বাধীন ফিলিস্তিন আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে সমাবেশ

বেরোবি ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে পাঠদান

বুধবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস

সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা 

ইবি এবং তুরস্কের ইগদির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক

‘কর্মনিষ্ঠ ও ত্যাগী পেশাজীবীকে প্রতিষ্ঠান সবসময় মনে রাখবে’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :