শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্ক
রোগে মরছে গাছ ও পাখি

বিলুপ্ত ও অতিবিপন্ন পাখিদের অভয়ারণ্য এবং পর্যটন বিকাশে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে আকর্ষণীয় আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্ক। অথচ বেশ কিছুদিন ধরে রোগ-বালাইয়ের সংক্রমণে মারা যাচ্ছে অসংখ্য প্রজাতির ফলজ গাছের বৃক্ষচারা ও দেশি-বিদেশি পাখি।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ি জনপদে শান্ত শীতল জলের এই কৃত্রিম লেক চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাভুক্ত। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রতিষ্ঠিত নান্দনিক এভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্কটিতে রয়েছে বৃক্ষের সমাহার। বনের মাঝে ও খাঁচায় বন্দি অবস্থায় আছে নানা প্রজাতির নান্দনিক পাখিও। পার্কের দেশি পাখির সঙ্গে বিদেশি পাখির কিচির-মিচির শব্দ দর্শনার্থীদের মোহাবিষ্ট করে রাখে সারাক্ষণ।
কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, বট, অশত্থ, পাকুড়, আমলকি, ডুমুর, জামসহ কিছু রসালো ফলের ফলজ গাছের চারা রোগ-বালাইয়ের সংক্রমণে মারা গেছে। খাঁচাগুলোও যেন দিন দিন পাখিশূন্য হয়ে যাচ্ছে। তবে এই পর্যন্ত কতগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা পাখি মারা গেছে, তার কোনো তথ্য নেই কর্মকর্তাদের কাছে।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, পাখিখাদ্যের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা ও সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব রয়েছে। তিনটি খাঁচায় দেশি-বিদেশি ৭০০টি পাখি ছিল সংগ্রহশালায়। এর মধ্যে ফ্যালকন ও পানকৌঁড়ির অবস্থা ভালো নেই। একটি বড় মদনটাক কুমিলা থেকে আনা হয়েছিল। বিপন্ন পাখিটির স্থান হয়েছিল নিরাপদ এই পার্কে। অথচ তার কোনো হদিস নেই, সম্ভবত মারা গেছে।
এই পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিনি বান্দরবান বন বিভাগে চম্পা ফুল বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলেন। তবে সে সময় তৎকালীন বনমন্ত্রীর আদেশ- নির্দেশ অমান্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন। কিন্তু এখানে গাছ-পাখির মড়কেও কিছু করছেন না।
অভিযোগ রয়েছে, ওই বন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তাকে দিয়ে পাখি ও বৃক্ষ রক্ষা হবে না মন্তব্য করে এই বিভাগে একজন দক্ষ অভিজ্ঞ কর্মকর্তার প্রয়োজন বলে দাবি করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে পার্কের দৃশ্যপট বদলে যাবে নান্দনিকতার ছোঁয়ায়। পাখি ও গাছের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/প্রতিবেদক/এআর)

মন্তব্য করুন