‘দুদককে আর কেউ দন্তহীন বলার সুযোগ নেই’

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:০২

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এক সময় ‘দন্তহীন’ বলা হলেও এখন আর সেটা বলার সুযোগ নেই বলে মনে করেন সংস্থাটির কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। দুদক এখন অনেক শক্তিশালী, এমনকি এখন দুদকের কামড় নয় আচঁড়ও কেউ সহ্য করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুদক এই গণশুনানির আয়োজন করে।

দুদক কমিশনার বলেন, ‘দুদক একটি শক্তিশালী স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। যারা দুর্নীতি করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। দুর্নীতি করে সম্রাটরাও অনেক সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, তারাও পার পাননি। সম্রাটের সহযোগীরা পার পাবে না। অপকর্মকারীদের তালিকা আরও দীর্ঘ হবে।’

মোজাম্মেল বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ দুষ্টু লোকজন সমাজে ভালো মানুষের লেবাস পরে থাকে। যে দুর্নীতি করবে তারা একদিন না একদিন ধরা পড়বেই। এখন কেউ দুর্নীতি করে রেহাই পাবে না। দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। সমাজের প্রতি জায়গায় দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।’

দুদক কর্মকর্তা বলেন, ‘মানুষ পৃথিবীতে আসে ক্ষণিকের জন্য, অতিরিক্ত ভোগ-বিলাসের জন্য না। আমরা গণশুনানির মাধ্যমে মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দুর্নীতি রূখতে হবে। দেশে দুষ্টু লোকের সংখ্যা খুব বেশি নয়। প্রতিটি জেলায় দুর্নীতি দমন কমিশন গড়ে তোলা প্রয়োজন।’

জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) কেএম শফিউল্লাহ (বীরউত্তম), জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, ঢাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভাগীয় পরিচালক আক্তার হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লায়ন মোজাম্মেল হক ভূইয়া প্রমুখ।

ঢাকা জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা ভুলতা, মুড়াপাড়া, মঠেরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প বসিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ করেন। গণসচেতনতা বাড়াতে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ করতেই এই গণশুনানির আয়োজন করা হয়।

গণশুনানিতে ১১৫টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। এসময় অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তদের মুখোমুখি করা হয়। কয়েকটি অভিযোগ তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। এছাড়া বাকি অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :