‘শামিম-সম্রাটের মতো অনেক রাঘব বোয়াল রয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৪৮
অ- অ+

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু। তিনি মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।

গত শনিবার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে তিনি চিঠিটি প্রকাশ করেন।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এমন অনেকেই আছে, যারা রাতারাতি কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গেছেন। জিকে শামিম, সম্রাটের মতো আরও অনেক রাঘব বোয়াল রয়েছে। যারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না জানিয়ে চিঠিতে তিনি লিখেন, ‘প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী মা জননী শেখ হাসিনা, আপনার কাছে একজন ক্ষুদ্র কর্মীর খোলা চিঠি-যে সকল লোক বংশ পরিচয়হীন এবং তাদের বাপ-দাদার ব্যক্তিগত তেমন কোন সম্পদ কিছু ছিল না, কিন্তু হঠাৎ করে ঢাকা শহরে এসে তারা কীভাবে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা, বাড়ি-গাড়ি ফ্লাটসহ এত সম্পদের মালিক হলো? প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী মা, শুধু সম্রাট, জি কে শামীমরাই নয়, তাদের মত আরো অনেক জি কে শামীম আছে কিন্তু তাদেরটা কেউ দেখেও দেখে না। কেউ বলে ও না।’

দলের প্রতি শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কারো মায়া নেই উল্লেখ করে তপু লিখেন, ‘আসলে আপনি ছাড়া এই দলের প্রতি কারো কোন মায়া নাই। তাই আপনি দয়া করে একটু তদন্ত করে তারপরে তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাবেন। এটা আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করছি।’

নিজের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে তিনি লিখেন, ‘আমি ফাহাদ হোসেন তপু মিয়া চন্দ্রপুর হাই স্কুল হতে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। কিশোর বয়সে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার পিতা সমতুল্য বড় ভাই ইকবাল হোসেন অপু। শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব পালন করি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের তথ্য-গবেষণা সম্পাদক এবং পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হই। ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আমাকে সহ-সভাপতির পদে নির্বাচিত করেন। কয়েক মাস আগে প্রিয় নেত্রী আপনি আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দায়িত্ব দিয়েছেন। ২০০১ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট এবং উগ্র সংগঠন শিবির ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যুক্ত থেকেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সততা এবং নিষ্ঠার সাথে লড়াই-সংগ্রাম করে যেতে চাই।’

দলের সুবিধাবাদীদের প্রতি দলীয় প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি লিখেন, ‘প্রিয় নেত্রী আপনি আমাকে খুশি হয়ে যা দিয়েছেন, তাতেই আমি কৃতজ্ঞ আমার আর চাওয়ার কিছু নাই। তবে প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী মা, আপনার কাছে আমার একটাই দাবি- যেসকল লোক সুবিধাবাদী এবং আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, তাদের দিকে আপনার একটু খেয়াল রাখার জন্য প্রিয় নেত্রী আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে কোনদিন এই আওয়ামী লীগের পাশে ছিল না, শুধু সুসময়ে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে এবং যারা সত্যিকারের নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করতে জানে না। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে পাশে থাকতে পারে না, তাদেরকে আওয়ামী লীগ এবং অন্য কোন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাই না।’

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/কারই/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
"হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে!" — চাঁদাবাজি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি
মিডফোর্ডের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপিকে দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন
মিডফোর্টে পাথর মেরে হত্যা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: জামায়াত
মিটফোর্ড হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বিএনপি মহাসচিবের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা