খুব সহজে জীববিজ্ঞান পাঠ !

শিক্ষা ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:২৬
অ- অ+

জীববিজ্ঞান অনেকের কাছে খুব ভালোলাগার, আবার অনেকের কাছে খুবই জটিল একটা বিষয়। অনেকেই জীববিজ্ঞানকে জমের মত ভয় পায়। বায়োলজির ছবি আঁকা বা মানব দেহের বিভিন্ন টার্ম মুখস্থ করতে গিয়ে জান বের হয়ে যায়। এটাও সত্যি কথা। যারা ভবিষ্যতে ডাক্তারি পড়বে তাদের জন্য জীববিজ্ঞান বিষয় পড়তে হবে। কিন্তু আসল কথা জীববিজ্ঞান কোনো ভয়ংকর বিষয় না। আনন্দ নিয়ে পড়লে এটি হয়ে উঠবে খুব সহজ বিষয়। তাহলে কীভাবে পড়তে হবে জীববিজ্ঞান জেনে নেওয়া যাক।

ক্লাসের আগে বাসায় পড়তে হবে

বায়োলজি বিষয়টা পছন্দ না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ, ক্লাসে টিচার যা পড়ান তার অর্ধেকও হয়তো আমরা বুঝি না। চাইলেই কিন্তু খুব সহজ উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। প্রতিদিন ক্লাসে যা পড়ানো হবে, তা অধিকাংশ শিক্ষক আগের দিন বলে দেন। আমরা যেটা করবো, তা হলো- কাল ক্লাস, আজ বসে কাল যে চ্যাপ্টার পড়ানো হবে তা রিডিং পড়বো। টুকটাক বুঝার চেষ্টা করবো। তা হলে পরদিন শিক্ষক যা পড়াবেন একটু হলেও ব্যাপারটা ধরতে পারবে তুমি।

শিক্ষকের লেকচারে মনোযোগ

জীববিজ্ঞান বিষয়টা বেশ জটিল। তাই লেকচার ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে। অনেকেই হয়তো ভাববে, ধুর বাসায় যেয়ে বন্ধুর কাছে শিখে নিবো, কিংবা কোচিং-এ তো পড়াবেই!!! এই ধরনের মনোভাব নিয়ে এত মূল্যবান প্রফেসরদের লেকচার হেলাফেলা করা একদমই উচিত না, কারণ ঐ প্রফেসর যা পড়াবেন তা অবশ্যই তেমার বন্ধু কিংবা বাসার টিচারের চেয়ে বহুগুণ তথ্যবহুল ও কার্যকরী।

ক্লাসে যা পড়ানো হচ্ছে তার সবটুকু তুমি নাই জানতে পারো। লজ্জা না করে শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করে ঐ ব্যাপারে ধারণাটা ক্লিয়ার করে নাও। কখনো কখনো চাইলে শিক্ষকদের লেকচার রেকর্ডও করতে পারো পরে পড়ার সুবিধার্থে। তবে যেকোন রেকর্ডিং করতে হলে অবশ্যই শিক্ষকের অনুমতিক্রমে করতে হবে।

ল্যাব ক্লাস,প্র্যাকটিকাল

ল্যাব ক্লাসটা জীববিজ্ঞানের একজন স্টুডেন্ট এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। “জীববিজ্ঞান বোঝার কিছু নেই, সব তো মুখস্থ”- এই কথাটার কোনই যৌক্তিকতা নেই। জীববিজ্ঞান বুঝে বুঝে পড়তে হবে। আর ঐ জ্ঞানটাকে প্র্যাকটিকাল ক্লাসের সময় এপ্লাই করতে হবে। তোমরা সবাই তোলাপোকা, ব্যাঙ, কেঁচো নিয়ে পড়েছো, কিন্তু সবচেয়ে কার্যকরী হয়েছে কখন, জানো? যখন ঐ মাথার জ্ঞানটাকে ব্যবহার করে ব্যাঙ কাটলে ও তা সেলাই করে দিলে। জীববিজ্ঞান অনেকটা এমনই। ব্যবহারিক করতে হবে, বুঝতে হবে, জানতে হবে। তারপর মুখস্থ ব্যাপারটা আসবে।

ছবি আঁকা

জীববিজ্ঞানে যে কোনো ছবি খুব গুরুত্ব বহন করে। ভালো ছবি আঁকতে পারলে তা একদিকে যেমন পড়া বুঝতে সাহায্য করবে, তেমনিভাবে পরীক্ষাতে ভালো নম্বর পেতেও সহায়তা করবে।

বুঝে মুখস্ত করা

বিজ্ঞানে ‘রুল অব থাম্ব’ নামে একটা ব্যাপার আছে। এই রুল অনুযায়ী ক্লাসে থাকা প্রতি ঘণ্টার জন্য বাসায় দুই ঘণ্টা পড়া- অর্থাৎ ক্লাসে যতো পড়াবে তার দ্বিগুণ বাসায় গিয়ে পড়া দরকার। এভাবে হিসাব করলে তোমার যদি সপ্তাহে পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস থাকে, তাহলে সপ্তাহে তোমাকে বাসায় পড়তে হবে ১০ ঘণ্টা।

আরেকটা কথা না বললেই নয়। তা হলো, তোমার পড়ার ধরন কী, তা খুঁজে বের করা ও সে নিয়মে পড়া। যেমন কেউ কেউ ভিজুয়াল ব্যাপারটা বেশি পছন্দ করে অর্থাৎ ছবি, ভিডিও দেখে মনে রাখে। কেউ কেউ আবার কানে হেডফোন লাগিয়ে পড়ে, গানের মিষ্টি আওয়াজ তাদের পড়ার গতি বাড়িয়ে দেয়। কেউ কেউ পড়ে আর লিখে। কেউবা একা জোরে জোরে পড়ে। যেভাবে পড়তে ভালো লাগে ও পড়াটা ফলপ্রসু হয় ঠিক ঐভাবে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে।

নিয়মিত পড়াশোনা করা

ব্রেইনে দুই ধরনের কাজ হয়- শর্ট টাম এবং লং টার্ম মেমোরি। অনেক সময় আমরা পড়া হলে রেখে দেই, কারণ মনে করি আমরা পারবো। আসল কথা হলো ঐ পড়াটা ব্রেইনের লং টার্ম মেমোরিতে জমা হয় না। এই সমস্যার সমাধান হলো, অনেকসময় ধরে পড়ার চেয়ে প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়া। সারাদিন যা পড়বে তা ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার রিভাইস দেওয়া আবশ্যক।

গ্রুপ করে পড়াশোনা

পার্টনারশিপে কোনো বন্ধুর সঙ্গে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারো এখন থেকে। জীববিজ্ঞানের টার্মগুলো বেশ কঠিন ও বারবার পড়তে হয়। তাই কোনো এক বন্ধুর সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে অথবা গল্প করার মতো করে পড়াগুলো মনে করতে পারো এবং বলতে পারো। পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি জীবনেও এই অভ্যাস অনেক কাজে দেবে ভালো রেজাল্ট করতে। আর কাউকে পড়া দিলে নিজের পড়া হয়েছে নাকি তাও বোঝা যায় ওএবংপড়াগুলো রিভাইস করে নেয়া যায়।

প্রশ্ন ব্যাংক ও বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান

জীববিজ্ঞান বিষয়টির বেস্ট পার্ট : এখানে টার্মগুলো ঘুরে ফিরে একই। যেকোনো পরীক্ষাতে টিচাররা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করেন। সেটা এস এস সি, এইচ এস সি এমনকি মেডিকেল এডমিশন টেস্ট হোক। এজন্য যেটা করতে হবে, সব পড়া শেষে আগের বছরগুলোতে আসা প্রশ্নপত্রে চোখ বুলাতে হবে। প্রশ্নের সমাধা করতে হবে। দেখা যাবে কম করে হলেও ৫০-৬০ শতাংশ প্রশ্ন কমন পড়েছে। আর দুর্বল স্টুডেন্টদের জন্য এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এমনকি মেডিকেল এডমিশন টেস্টেও আগের প্রশ্ন কমন পড়ার নজির আছে।

ঢাকাটাইমস/১৪জানুয়ারি/এসএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মানিকগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার 
হামদর্দ বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভা অনুষ্ঠিত
পাবনা-ঢাকা সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা