বদলে যাচ্ছে পরীক্ষার গ্রেডিং পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৪৩| আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৩৩
অ- অ+

দেশের সব পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতির যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছিল তা চলতি শিক্ষাবর্ষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে কার্যকর হতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে মিলিয়ে পুরোনো পদ্ধতি জিপিএ-ফাইভের পরিবর্তে পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ মান জিপিএ-ফোর নির্ধারণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি পর্যন্ত গ্রেডিং পদ্ধতিতে আর কোনো প্রভেদ থাকবে না। চলতি মাসেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, চলতি ২০২০ শিক্ষাবর্ষে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা থেকে নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি কার্যকর করা হবে। ২০২১ সাল থেকে এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৪ কার্যকর করা হবে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে ৫ পয়েন্টের গ্রেডিং পদ্ধতির বদলে ৪ পয়েন্ট চালু করার কথা সরকার ভাবছে বলে বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ মান জিপিএ ৪ চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে আভাস দিয়েছিলেন তিনি।

২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গ্রেড পরিবর্তন-সংক্রান্ত একটি সভার আয়োজন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ-৪ এর সঙ্গে সমন্বয় করে নিচের স্তরের সব পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৪ করার পক্ষেই মত আসে।

ওই সভায় নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ এর স্থানে জিপিএ-৪ নির্ধারণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠিন্যের স্তর, মার্কিংয়ের গুণগত মান ইত্যাদি পরিবর্তন হচ্ছে না। আগের পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন ও নম্বর বণ্টন করা হবে।

নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে জেএসসি-জেডিসি, এসএসসি-সমমান, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় নম্বরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ মান নির্ধারণ হয়েছে জিপিএ-৪। এ ক্ষেত্রে ৯০-১০০ পর্যন্ত এ প্লাস জিপিএ-৪, ৮০-৮৯ পর্যন্ত ‘এ’ জিপিএ-৩.৫, ৭০-৭৯ ‘বি’ প্লাস জিপিএ-৩, ৬০-৬৯ ‘বি’ জিপিএ-২ দশমিক ৫, ৫০-৫৯ ‘সি’ প্লাস জিপিএ-২, ৪০-৪৯ ‘সি’ জিপিএ-১ দশমিক ৫, ৩৩-৩৯ ‘ডি’ জিপিএ-১ এবং শূন্য থেকে ৩২ ‘এফ’ গ্রেড জিপিএ-০ বা ফেল নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে সনাতন পদ্ধতিতে নম্বর দেয়ার পরিবর্তে গ্রেড পদ্ধতি চালু করা হয়। ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ৫ সূচকের (পয়েন্ট বা স্কেল) ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০ফেব্রুয়ারি/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ছাগলনাইয়ায় ৪ বিজিবির উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ
পুলিশ হেফাজতে বিষপান করা নারী ঢামেকে মারা গেছেন, দায়িত্বে অবহেলায় তিন পুলিশ বরখাস্ত
ফেনীতে বন্যার পানি একদিকে নামছে, অন্যদিকে বাড়ছে
কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোডে স্থাপন করা হবে ‘প্রতিরোধ মিনার’ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা