বড্ড অসময়ে চলে গেলেন নেজামী ভাই

এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া
| আপডেট : ১৩ মে ২০২০, ১৭:২৫ | প্রকাশিত : ১৩ মে ২০২০, ১৭:১৪

আর কেউ ফোন করে বলবে না, কী ভুইয়া সাহেব কেমন আছেন! রাস্তায় দেখা হলে কেউ বলবে না, আরে ভুইয়া সাহেব আসেন এক কাপ চা হয়ে যাক। আমিও হাসতে হাসতে বলতাম, ভাই আমার তো চায়ের পর ‘টা’ লাগে। উনিও বলতেন আরে হয়ে যাবে। এমন একজন সহজ-সরল, আন্তরিক মানুষ ছিলেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী।

লকডাউনের পরও তার সাথে কথা হয়েছে দুদিন ফোনে। রোজার শুরুতে কথা হয়েছে একদিন আর গত ৭ মেও কথা বলেছি। সোমবার ইফতারের আগে চিন্তা করছিলাম তারাবি নামাজের পর ফোন করবো কথা বলার জন্য। ১৬ মে ফারাক্কা লংমার্চ উপলক্ষে একটা টক শোকে আমন্ত্রণ জানাতে। গত কয়েকটা দিন আমার শরীর ও মন দুটাই খারাপ। তাই এশার নামাজের পর একটু শুয়ে পড়েছিলাম। ভাবছিলাম ৩০-৪০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে পরে তারাবি পড়বো। এরই মাঝে ৮.৪০ মিনিটে জাগোনিউজ২৪.কমের জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক খালিদ হোসেনের ফোন কল। কলটা রিসিভ করতেই বললেন, ভাই একটু খবর নেন, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী সাহেব নাকি ইন্তেকাল করেছেন। আমি দ্রুত বিছানা থেকে উঠেই কয়েকজনকে ফোন করলাম দেখি সাবারই ফোনই ব্যস্ত। এক পর্যায়ে জোটের মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ সাহেব কল রিসিভ করে বললেন, ভাই নেজামী ভাই ইন্তেকাল করেছেন। আমার তখনও বিশ্বাস হচ্ছিল না। অনেকটা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম।

৮০’র দশকের শেষ দিকে ৮৯ সালে সাবেক মন্ত্রী প্রখ্যাত সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদের বাসায় নেজামী ভাইয়ের সাথে পরিচয়। তারপর ৩১ বছর হয়ে গেল। সম্পর্কেও উন্নতি হয়েছে। রাজনীতির কারণে হয়তো সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আন্তরিকতা নষ্ট হয় নাই। সেই থেকে শুরু তারপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, সাত দলীয় জোট, ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন, টিপাইমুখবিরোধী লংমার্চ, ১৮ দলীয় জোট থেকে ২০ দলীয় জোট নেজামী ভাইয়ের সাথে কাজ করা।

পরিচয়ের প্রথম দিন তার সাধারণভাব দেখে আমি মনে করেছিলাম তথাকথিত সাধারণ মোল্লা নেজামী। কিন্তু, আমার ধারণাকে ভুল হিসেবে আখ্যা দিয়ে আনোয়ার জাহিদ বললেন, ’৬০ এর দশকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত ইংরেজি পত্রিকা দি পিপলস্ এ যে মাদ্রাশা শিক্ষিত ছেলেটি কাজ করতে এসেছে সে নিশ্চয়ই অনেকের চাইতে মেধাবী। তার দীর্ঘ সময় তারসাথে চলার পথে বারবার প্রমাণ পেয়েছি তিনি কতটা মেধাবী ও শিক্ষিত। এবং ইংরেজিতে এতটাও দক্ষ ছিলেন যে, এই সমসাময়িক মাদ্রাসা শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে আশা করাটাই কঠিন।

দীর্ঘ এই ৩১ বছরের পরিচিত সময়ে এই মানুষটিকে দেখে এসেছি। প্রাচুর্য ও অহংকার ছিল না তার মধ্যে। ফুটপাতের পাশে বসে দুই টাকা-পাঁচ টাকা দামের চা খেয়েছি, খায়িয়েছি বহু দিন। নিঃসঙ্গ পথচারীর মতো ফুটপাত ধরে হাঁটতে দেখেছি। রাস্তায় চলতে গিয়ে দুই টাকা/পাঁচ টাকার বাদাম কিনে আয়েশ করে খেতে দেখেছি কতদিন। ৯০’র দশকে দৈনিক শক্তি নামের একটি পত্রিকায় বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। তখন কতদিন গিয়েছি তার কাছে কিন্তু ইয়ত্তা নাই। কত আলাপ, কত বিষয়ে।

আমাদের দেশে রাজনীতিতে সাধারণত যে যেদিকে রাজনীতি করে তার বাইরে খুব বেশি পড়তেও চায় না, জানতেও চায় না। কিন্তু, নেজামী ভাই এই ক্ষেত্রে ছিলেন একেবারেই ভিন্ন। একজন ইসলামি রাজনীতিবিদ হওয়া সত্ত্বেও বাম রাজনীতিসহ জাতীয় আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে প্রচুর জানতেন এবং এই সম্পর্কে লেখাপড়াও করতেন। আবার সব মতবাদেও মানুষের সাথে মিশতে পারতেন খুবই আন্তরিকতার সাথে। আমার একসময়ের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা মীরাজুল ইসলাম আব্বাসীর সাথে অনেক সময়ই লেগেযেত তার এই ইসলামি রাজনীতি নিয়ে। কিন্তু, কখনো নেজামী ভাইকে রাগতে দেখি নাই। একসময় এই মীরাজ ভাইও তার এতটাই ভক্ত হয়ে গেলেন যে, চিন্তাই করা যায় না। মীরাজ ভাইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত নেজামী ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। প্রতিকূল পরিবেশ বা বেকায়দার সময়েও কারো আক্রমণাত্মক প্রশ্ন ও কথাবার্তার উত্তর দিতেন একেবারে স্বাভাবিকভাবে হাসিমুখে। কেউ খোঁচা দিয়ে কথা বললেও ঘরোয়া মানুষের মতো লাজুক ভঙ্গিতে কথার উত্তর দিতেন। ময়দানে একজন পরিপূর্ণ আধুনিক মনের অধিকারী ইসলামি রাজনীতিক। পথচারী ও পদচারী রাজনীতিক। আলাপি ও নির্বিরোধ মানুষ। কর্মপন্থা ও সিদ্ধান্তে হয়তো কিছু ভুল ত্রুটি ছিল, কিন্তু একজন সদালাপী ভদ্র সজ্জন মানুষ ছিলেন তিনি। তার সারল্যের কারণেই অনেক ভিন্নমতের মানুষও তাকে শ্রদ্ধা করতেন।

তাঁর লেখার হাতও ছিল শক্তিশালী ও সুন্দর। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত তার কোনো কোনো প্রবন্ধ পড়েই বোঝা যেত। বোঝা যেত, বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি, রাজনীতির ইসলামিকরণ, রাজনীতিতে বি- ইসলামিকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের চোরাবালি- এসকল বিষয়ে তিনি ভালো বুঝতেন। এবং এসকল বিষয়ে তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণ অনেকটাই মিলে যেত।

আমার লেখক হওয়ার পেছনে যে লোকগুলোর সবচাইতে বড় অবদান আনোয়ার জাহিদের পর যে লোকগুলোর নাম না বললে অকৃতজ্ঞতা হবে তাদের মধ্যে অন্যতম হলে মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। রাজনীতির ওপর আমার প্রথম লেখার ‘নীল নক্সার অপর নাম সিআইএ’ লেখাটি ১৯৯৪ সালের ১৩ আগস্ট দৈনিক শক্তিতে প্রকশনার সব ব্যবস্থাই করেছিলেন তিনি। সেই থেকে শুরু আমার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর লেখালেখি।

১৮ দলীয় জোটের সময় দেখেছি হাসতে হাসতে কতটা সত্য, নির্মম ও যৌক্তিক কথা বলা যায় অনেক বড় নেতাদের তার প্রমাণ দিয়েছিলেন বার বার মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। জোট প্রধান ও বিএনপি চেয়াপরসন বেগম খালেদা জিয়ার সামনে অনেক বীরপুরুষকেই দেখেছি নম নম করতে। কিন্তু, নেজামী ভাই ভদ্রভাবে হাসতে হাসতে অনেক কথাই বলে ফেলতেন বেগম জিয়ার সামনে। একবার এক সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইসলামী ঐক্যজোট ও জোটের থাকা ইসলামি দলগুলোর যোগ্যতা ও আন্দোলনে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে অনেকে সেদিন চুপ করে ছিলেন বেগম জিয়ার সামনে। কিন্তু, নেজামী ভাই চুপ ছিলেন না। তিনি ফখরুল সাহেবকে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘ফখরুল ভাই ইতিহাস প্রমাণ করে আলেম উলামাদের আন্দোলন ও রক্তের সুবিধা ইসলামি দলগুলো ভোগ করতে না পারলেও আপনারা তা ভোগ করেছেন। আর এখন পৃথিবী বদলে গেছে। প্রধান-নিলুরা ভারত বিরোধী রাজনীতি করবে, জেলে যাবে আর ইসলামি দলগুলো আন্দোলন করবে রক্ত দেবে আপনারা ফসল ভোগ করবেন সেই দিন মনে হয় আর নাই। এখন আন্দোলনের আগে কাকে কী দেবেন পরিষ্কার করতে হবে। আন্দোলন একসাথে, নির্বাচন ভাগে ভাগে আর সরকার আপনাদের একার সিই দিন নাই।’

২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জকেও নেজামী ভাই বলেছিলেন ভুল সিদ্ধান্ত। সেই সময়ই এক সভায় বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘জোটের কোন দলকে কোন আসনে ছাড় দেবেন পরিষ্কার হওয়া উচিত।’ তখন ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, এগুলো পরে আলোচনা হবে। নেজামী ভাই বলেছিলেন, গোপনে আলোচনার কী আছে। প্রকাশ্যে কথা দিয়েও আপনারা কথা ঠিক রাখেন না আর গোপন আলাপের কী মূল্য। সেই সময় বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, খেলাফত মজলিস আমির অধ্যক্ষ মুহম্মদ ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতী মুহম্মদ ওয়াক্কাস এমনকি জোটের দ্বিতীয় শীর্ষ দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি নীরব থাকলেও বিএনপি মহাসচিবের পক্ষ হয়ে নেজামীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এলডিপি সাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বীরবিক্রম ও কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক। মনে হচ্ছিল তারাই বিএনপির প্রতিনিধি। কিন্তু, নেজামী ভাই তার কথা থেকে একটুও সরে আসেন নাই।

২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় যদি ইসলামী ঐক্যজোট বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ত্যাগ করতো তাহলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী প্রতিমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু তারপরও তিনি তা করেন নাই। সকল প্রকার লোভ ও চাপ উপেক্ষা করে জোটেই ছিলেন তিনি। যেদিন ইসলামী ঐক্যজোটের সম্মেলন থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ত্যাগের ঘোষণা এসেছিল সেদিনও তিনি চেষ্টা করেছিলেন যে বিএনপির একজন প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বেগম জিয়ার পক্ষে আলেম-উলামাদের শুভেচ্ছা জানাবেন। তাহলেই পুরো পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং তিনি আর জোট ত্যাগ করেন না। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য সে সময় বিএনপি মহাসচিবের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামী ঐক্যজোট যাতে ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করেন তার জন্য সবচাইতে সোচ্চার অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব ও মাওলানা আবদুল করিমের নেতৃত্বে নতুন ইসলামী ঐক্যজোট গঠন করা হয় বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনে।

জোট ত্যাগের পরও বহুবার তার সাথে বসার ও আলোচনার সুযোগ হয়েছে। তিনি বার বারই বলতেন, “বিএনপি মহাসচিবের আলেম উলামাদের প্রতি অবহেলা। দোষ চাপানোর প্রবণতার কারণেই ইসলামী ঐক্যজোটের ভেতর বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ত্যাগের জনমত গড়ে উঠে প্রবলভাবে।” এবং তিনি বলতেন, “শেখ শওকত হোসেন নিলুর ও ইসলামী ঐক্যজোটের ২০ দলীয় জোট ত্যাগের সকল প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন বিএনপি মহাসচিব।” পরবর্তী সময়ে আমার কাছেও তাই মনে হয়েছে।

যাই হোক, গত ২৭/২৮ এপ্রিল অনেকক্ষণ আলাপ হয়েছে নেজামী ভাইয়ের সাথে মোবাইলে। অনেক কথার মাঝে কথা হয়েছিল লকডাউনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জেবেল সাহেবের সাথে তার বৈঠক হতে হবে। বিকল্প জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির সমন্বয়ে একটা প্লাটফর্ম করার জন্য। আমিও কথা দিয়েছিলাম জি নেজামী ভাই দিনব্যাপী বৈঠক হবে আমার চেয়ারম্যানের বাসায় দুপুরের লাঞ্চ ও রাতের ডিনারসহ। কাকে কাকে রাখবেন বলেন। তিনি বলেছিলেন আমার সাথে দুই একজন আর মোর্ত্তজা ভাইকে রাইখেন। আর জেবেল সাহেব যাকে যাকে রাখতে চান।

গত ৯ মেও তার সাথে কথা হয়েছে কিছুক্ষণ। সেই সময়ই বলেছিলেন ১৩/১৪ তারিখে একসাথে হবো। সম্ভব হলে দুই ভাই ইফতার করবো। ১১ মে মৃত্যু সংবাদ শুনে মনে হলো কথাগুলো। মহান আল্লাহ তার বান্দাকে নিয়ে গেলেন।

সত্যিই নির্লোভ ও নিরহংকারী একজন সজ্জন রাজনীতিবিদ ছিলেন মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। তার মতো ভালো মানুষ আজকের সমাজে খুজে পাওয়া খুবই কঠিন। এতো ভালো মানুষ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোঠায়। কারণ আজকাল রাজনৈতিক টোকাইরাও মনে করেন তারা অনেক বড় নেতা। কোনো অনুষ্ঠানে তারা নিজেরদের নামের নিচে নেজামী ভাই কিংবা আবেদ রাজাদের মতো ত্যাগী নেতাদের নাম নিয়ে আসতেও দ্বিধা করতো না। তার সাদামাটা জীবন আজকের রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য উজ্জ্বল উদাহরণ। একজন উঁচুমাপের আলেম ছিলেন। দেখতে যদিও তাঁকে খুব সাধারণ মানুষ মনে হতো, তিনি ছিলেন আধুনিক শিক্ষিত। খুব ভালো ইংরেজি জানতেন। ৬০’র দশকে তিনি ইংরেজি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছিলেন বহু বছর। অনেক বিষয়ে তিনি জ্ঞান রাখতেন। তাঁকে একজন পণ্ডিত রাজনীতিবিদও বলা যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো রেজাল্ট নিয়ে অনার্স, মাস্টার্স পাস করেছিলেন তিনি। কিন্তু দেখতে তাঁকে খুবই সাধারণ মানুষ মনে হতো। ইয়েস, তাঁর চলাফেরা ও লাইফস্টাইল ছিল খুবই সাধারণ। রাজধানীতে পায়ে হেঁটে চলতেন স্বল্প দূরত্বের পথ। আরেকটু দূরত্বের পথ হলে রিকশায় চড়তেন, আরেকটু বেশি হলে লোকাল বাসে। ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও এমন একজন জাতীয় নেতার গাড়ি-বাড়ি ছিল না এই নগরীতে। এমন উদাহরণ খুঁজে পাওয়াতো খুবই কঠিন।

এই রমজানে শুনতে হলো তাঁর মৃত্যু সংবাদ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে তার জন্য জান্নাতে সুউচ্চ স্থান কামনা করছি। বলতে চাই নিজামী ভাই আপনি ভালো মানুষ ছিলেন-একথা এক বাক্যে সবাই বলবে, আপনার রাজনীতির প্রতিপক্ষ থেকে শুরু করে সবাই। তারপরও মানুষ হিসেবে হয়তো কিছুটা ভুল-ত্রুটি হতে পারে আপনার জীবনে। আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার ছোটো-খাটো ভুল ক্ষমা করে জান্নাতে সুউচ্চ স্থান দেবেন।

লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :