সৃজিতকে নিয়ে আফসোসে পুড়ছেন মিথিলা

বিনোদন প্রতিবেদক
  প্রকাশিত : ২৯ মে ২০২০, ১০:৪০
অ- অ+

বিয়ের পর সুইজারল্যান্ডের হানিমুন ছাড়া কলকাতার পরিচালক সৃজিতের সঙ্গে আর কোনো কোয়ালিটি টাইম কাটাতে পারেননি তার স্ত্রী অর্থাৎ বাংলাদেশি অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী রাফায়েত রশীদ মিথিলা। হানিমুন সেরে শুটিংয়ের কাজে সৃজিত চলে যান দক্ষিণ আফ্রিকায় আর মিথিলা চলে আসেন বাংলাদেশে। কথা ছিল, কয়েকদিন বাদেই দক্ষিণ আফ্রিকায় সৃজিতের কাছে উড়ে যাবেন মিথিলা।

কিন্তু করোনার কারণে ভেস্তে যায় সব পরিকল্পনা। উল্টো দুই তারকা দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে তাদের নিজ নিজ দেশে আটকে রয়েছেন। বিয়ের পর গত ২৫ মে ছিল মিথিলার প্রথম ঈদ আবার জন্মদিনও। একই দিনে দুটি বিশেষ উৎসব। বিয়ের পরই সৃজিত-মিথিলা পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন, ঈদ ও জন্মদিন এবার খুব ঘটা করে পালন করবেন। বড়সড় পার্টিও দেবেন।

করোনায় নস্যাৎ হয়েছে সেই পরিকল্পনাও। বিয়ের পরের প্রথম ঈদ ও জন্মদিন স্বামী সৃজিতকে ছাড়াই কাটাতে হয়েছে মিথিলার। ভিডিও কলের মাধ্যমে ঈদ ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা চালাচালি করতে হয়েছে তাদের। আর এবার তো মিস হয়ে গেল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। বৃহস্পতিবার ছিল জামাইষষ্ঠী। করোনার কারণে এই প্রাপ্য থেকেও বঞ্চিত হলেন সৃজিত। যার কারণে আফসোসে পুড়ছেন মিথিলাও।

অভিনেত্রী জানান, ‘প্ল্যান ছিল অনেক। হল না কিছুই। আমি বাংলাদেশে আর সৃজিত ভারতে। মাঝখানে কাঁটা হয়ে রয়েছে লকডাউন। জন্মদিন, ঈদ তো গেলই, গতকাল জামাইষষ্ঠীও পার হয়ে গেল। সৃজিত আর আমার প্রথম জামাইষষ্ঠী। কথা ছিল, আফ্রিকা থেকে শুটিং সেরে ও বাংলাদেশ আসবে। আমার জন্মদিন, ঈদ সবাই মিলে একসঙ্গে পালন করব। সে সব তো হয়নি, জামাইষষ্ঠীও গেল।

মিথিলা আরও বলেন, ‘যদিও আমাদের ধর্মে ওভাবে জামাইষষ্ঠী বলে কিছু নেই, তবে সৃজিত এই মুহূর্তে এখানে থাকলে ওকে আম্মুর হাতের শুঁটকি মাছের ভর্তা, ইলিশভাপা আর কষা মাংস খাওয়াতাম। ও এগুলো খেতে খুব ভালোবাসে। তা তো আর হল না। তাই ওকে বলেছি, ‘এক কাজ করো, কলকাতার কোনও খাবারের দোকান থেকে তোমার পছন্দমতো খাবার কিনে খেও। মনে করো জামাইষষ্ঠীর খাবার খাচ্ছো।’

অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘তবে এটা ঠিক, ও আগে যতবার এদেশে এসেছে, জামাই আদর বেশ ভালোভাবেই করা হয়েছে। বাহারি রান্নার পদ, ও যা যা ভালোবাসে তাই রেঁধেছে আমার বাড়ির লোকেরা। আমার মায়ের হাতের রান্না আবার ওর বড়ই প্রিয়। এ রকম বহু বার দেখেছি, ও খেতে শুরু করলে থামতেই চায় না।’

‘এমনিতেই আমাদের দাওয়াত মানেই দশ-পনেরো রকমের পদ হয়। কিন্তু সৃজিতকে কখনও খাওয়ার ব্যাপারে ক্লান্ত হতে দেখিনি। আমি বরং এখন বারণ করি, বলি একটু কম খাও। শরীরের দিকেও তো নজর রাখতে হবে। তবে আম্মুকে দেখেছি, ওকে খাইয়ে যা সুখ পায়, তা যেন আর কিছুতে নেই। আমাদের প্রথম জামাইষষ্ঠী তোলা থাকল আগামী বছরের জন্য।’

বছর খানেক প্রেম করার পর গত ৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেন সৃজিত ও মিথিলা। কলকাতায় সৃজিতদের বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য, কাছের কয়েকজন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন। কলকাতায় একটি মিউজিক ভিডিওর কাজ করতে গিয়ে সৃজিতের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অভিনেত্রীর।

মিথিলার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামী বাংলাদেশি গায়ক ও অভিনেতা তাহসান রহমান। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়েছিল। তাহসান-মিথিলার সংসারে জন্ম হয় মেয়ে আইরার। ২০১৭ সালে সবাইকে অবাক করে হঠাৎই ডিভোর্সের ঘোষণা দেন সাবেক এই তারকা দম্পতি। ডিভোর্সের পর মেয়ে আইরা মিথিলার সঙ্গেই থাকে।

ঢাকাটাইমস/২৯মে/এএইচ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিশ্বের ৪০০ উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫৭তম উত্তরা ইউনিভার্সিটি
লঙ্কানদের মাটিতে ইতিহাস গড়া জয় টাইগারদের
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ও ছবি ছড়াচ্ছে আ.লীগ: প্রেস উইং
গোপালগঞ্জে কড়াকড়ি কারফিউ চলছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা