জুনেও কিস্তি নিলে লাইসেন্স বাতিল

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০১ জুন ২০২০, ১৩:৪৪| আপডেট : ০১ জুন ২০২০, ১৪:২১
অ- অ+

করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণগ্রহীতাদের থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবেন না, সরকারের এমন নির্দেশনা আগেই এসেছিল। কিন্তু অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ায় এনজিওগুলো ঋণ আদায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় জেলা প্রশাসক হামিদুল হক জানিয়েছেন, জুন মাসেও কিস্তি আদায় করতে পারবে না এনজিওগুলো। কোনো এনজিও এ নির্দেশনা অমান্য করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

এ বিষয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিরির গঠন করে দেওয়া মনিটরিং সেলের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, রাজশাহী থেকে জোর করে ঋণ আদায়ের দু’একটি অভিযোগ পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তা বন্ধ করেছেন। জোর করে ঋণ আদায় করা হলে এনজিও’র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে তাদের। প্রয়োজনে তারা সেটাই করবেন।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে সোমবার সকালে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক লিখেছেন, ‘এনজিও থেকে গৃহীত ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি পরিশোধে কোনো ঋণ গ্রহীতাকে ৩০ জুন পর্যন্ত বাধ্য করা যাবে না।’

তার ওই স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে রাজশাহীর অনেকেই জানিয়েছেন, রবিবার থেকে এনজিওগুলো ঋণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এনজিওকর্মীরা কিস্তির টাকার জন্য বাড়িতে এসে চাপ দিচ্ছেন। দুর্ব্যবহারও করছেন।

তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিরির মনিটরিং সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম তার নিজের ০১৭১২০৮২০৫৭ এই নম্বরে কল দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে জানান, পুরো জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ না রাখলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, জুন পর্যন্ত নতুন করে কাউকে ঋণ খেলাপি ঘোষণা করা যাবে না উল্লেখ করে গত ২২ মার্চ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। এরপরও এ প্রজ্ঞাপনের ভুল ব্যাখা দিয়ে কিছু এলাকায় ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাকে কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছিল। বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য গত ২৫ মার্চ আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে অথরিটি।

এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। অর্থাৎ এই সঙ্কটময় সময়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। একই সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে কাউকে ঋণ দিতে চায় সেটা দিতে পারবে।

ঢাকাটাইমস/১জুন/পিএল

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আশুলিয়ায় গণহত্যা ও ছয় লাশ পোড়ানো মামলায় ১৬ জনকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তরুণদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: রাবাতে আসিফ মাহমুদ
হজব্রত শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি
৭ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা