‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রচারণা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জুন ২০২০, ২০:৫৯ | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০২০, ২০:৩৫

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনার্স/মাস্টার্স পাঠদানকারী নন-এমপিও শিক্ষকরা সরকারের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হতে না পেরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে অযৌক্তিক ও বিরূপ প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের প্রচারণাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে তা থেকে শিক্ষকদের বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সংশ্লিষ্ট কলেজের সভাপতি, গভর্নিং বডি এবং অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কিছুসংখ্যক শিক্ষকের অযৌক্তিক ও বিরূপ প্রচারণা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনার্স/মাস্টার্স পাঠদানকারী নন-এমপিও শিক্ষকবৃন্দ সরকারের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত হতে না পেরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে অযৌক্তিক ও বিরূপ প্রচারণা চালাচ্ছে। বিষয়টির প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। তাদের এ ধরনের আচরণ অনৈতিক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অত্যন্ত দুঃখজনক। জনবল কাঠামোতে অধিভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া বা না নেয়া সরকারের বিষয়। অন্যদিকে নিয়মিত বেতন প্রদান গভর্নিং বডি তথা কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। এ উভয় বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ তাদের টার্গেট করে অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংশ্লিষ্ট কতিপয় শিক্ষক উল্লিখিত প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তাদের এ তৎপরতা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

বর্তমানে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ মানব জাতির অস্তিত্বের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারপ্রধান এবং প্রশাসন যন্ত্র যখন সর্বাত্মক চেষ্টায় নিয়োজিত এবং সমগ্র জনগণের মাঝে যখন একটি ভীতিকর অবস্থা বিরজমান, ঠিক সে সময়ে এসব শিক্ষকের উল্লিখিত আচরণ খুবই অমানবিক এবং দুর্ভাগ্যজনক। তাদের এ অবস্থান কলেজের শিক্ষা ও স্বার্থের পরিপন্থী। এমনকি এসব শিক্ষকগণ অনার্স/মাস্টার্স পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি প্রদানের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, যা খুবই উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতীয়মান।

প্রসঙ্গত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধিভুক্ত কলেজসমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণের ব্যাপারে সচেতন থেকে সাধ্য অনুযায়ী নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। করোনাকালীন চরম প্রতিকূল অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনা করে হলেও সকল শিক্ষক যাতে নিয়মিত বেতন পান তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে অধিভুক্ত সকল কলেজকে একটি সাধারণ সার্কুলার জারি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এমতাবস্থায় শিক্ষকবৃন্দ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে যাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে বিষয়ে সাধ্য অনুয়ায়ী চেষ্টা করা এবং একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক অপপ্রচারে নিয়োজিত শিক্ষকদের আচরণ আমলে নিয়ে করণীয় নির্ধারণে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের সভাপতি/অধ্যক্ষসহ গভর্নিং বডির সম্মানিত সদস্যদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :