লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট না থাকলে করোনা মোকাবেলা অনেক ব্যয়বহুল হবে

মোহাম্মদ ইব্রাহিম
| আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২০, ১৩:১১ | প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২০, ১২:১৯

কোভিড-১৯ মহামারি বর্তমানে পুরো পৃথিবীকে প্রায় অচল করে রেখেছে। ২ জুলাই ২০২০ তারিখে লেখাটি লেখার সময় বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০.৮৫ মিলিয়ন ব্যক্তি করোনাভাইরাস সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫.২০ লক্ষাধিক সংক্রমণ শনাক্তকৃত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী এই সংক্রমণ এবং সংক্রমণজনিত মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। মার্চের ৮ তারিখে বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ বিস্তার লাভ করতে থাকে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকতৃক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সংক্রমণ শনাক্তকৃত ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১.৫৪ লাখে উন্নিত হয় এবং প্রায় দুই হাজার সংক্রমণ শনাক্তকৃত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন অথবা প্রাণ হারানোর পর সংক্রমিত হিসেবে শণাক্ত হয়েছেন। কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও ব্যাপকহারে প্রয়োগ ছাড়া ভয়ানক এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূল করা সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্ট গবেষকগণ সতর্ক করেছেন।

বাংলাদেশ ইতোপূর্বে সিডর-আইলার মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা-খরাসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। তবে বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের মতো সর্বব্যাপী ও দীর্ঘায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অন্যান্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশ এবারই প্রথম। করোনার প্রভাব অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা-খরার প্রভাব থেকে ভিন্নতর। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যা-খরা সাধারণত সুনির্দিষ্ট অঞ্চলে সংঘঠিত হয়ে থাকে, কিন্তু করোনা পুরো দেশ তথা বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ বিস্তার করছে। আবার অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ব্যাপ্তী সাধারণত সীমিত ও নির্দিষ্ট থাকে, কিন্তু করোনা মহামারি প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ইতোমধ্যে ৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে, এবং কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও যথাযথ প্রয়োগ পর্যন্ত এর সংক্রমণ অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ আশঙ্কা করছেন। তাই করোনা মোকাবেলার প্রচেষ্টাও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলা প্রচেষ্টা হতে ভিন্ন হতে হবে।

বাংলাদেশের মতো কম আয়ের দেশের দুর্যোগ মোকাবেলায় সীমিত সক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে এমন দীর্ঘায়িত দুর্যোগ মোকাবেলায় এর সময়ের ব্যপ্তি বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হবে।

সময়ের ব্যপ্তি বিবেচনায় যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় দুটো পর্যায় থাকে; দুর্যোগের তাণ্ডব চলাকালীন সময় এবং দুর্যোগ পরবর্তীতে জনজীবন ও অর্থনীতি স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসা বা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকালীন সময়। দুর্যোগ মোকাবেলায় পর্যায় অনুযায়ী মূল লক্ষ্যও তাই ভিন্নতর হতে হবে। দুর্যোগের ক্ষতি সর্বনিম্ন করতে চাইলে পর্যায় অনুযায়ী মূল লক্ষ্যে স্থির থেকে মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রথম পর্যায় দুর্যোগের তাণ্ডব চলাকালীন মূল লক্ষ্য থাকতে হবে জীবন ও জীবিকার (অর্থনীতি) উপর দুর্যোগটির প্রভাব সর্বনিম্ন রাখা। প্রকৃতপক্ষে, এ পর্যায়ে নাগরিকের জীবন বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। যেমন কোন এলাকায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সকল প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রেখে প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে করে ওই স্থানে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অ-অর্থনৈতিক ক্ষতি যেমন জীবনহানী সর্বনিম্ন করা সম্ভব হয়। কিন্তু অতি দীর্ঘায়িত করোনা মহামারির তাণ্ডবের পুরো সময়জুড়ে অন্যান্য দুর্যোগের মত অর্থনীতি পুরোপুরি স্থগিত করে রাখা সম্ভব নয়। কারণ, একদিকে জীবিকার্জনের পথ বন্ধ রেখে মানুষ বেশিদিন পরিবারের আবশ্যকীয় ব্যয় সংকুলান করতে পারবে না; অন্যদিকে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য অতি জরুরি দ্রব্য ও সেবা সামগ্রীর উৎপাদন ও সরবরাহ দীর্ঘদিন বন্ধ রাখলে এসব অতি জরুরি পণ্য ও সেবার ঘাটতি দেখা দিবে। পরিণামে দুর্ভিক্ষের মতো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। আবার, অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থায় সরকারের রাজস্ব আহরণ একেবারে বন্ধ না হলেও অনেক কমে যাবে, এবং মহামারির বিস্তার বিশ্বব্যাপী হওয়ায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীসমূহ হতে ঋণ এবং অনুদান প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে। পরিণামে সরকার বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অতি আবশ্যকীয় সামগ্রী বিনামূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে দীর্ঘকাল ধরে ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য মানুষের মধ্যে সরবরাহ করতে পারবে না।

বিপরীতে, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করলে অর্থনীতি স্বাভাবিক ধারায়ও চালু রাখা সমীচীন নয়, কারণ এতে সংক্রমণের বিস্তার এবং প্রাণহানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করে অতি জরুরি পণ্য ও সেবার উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে। পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং চাকরি-কর্ম হারিয়ে নতুন করে দরিদ্রে পরিণত হওয়া জনগোষ্ঠির খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ এ পর্যায়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে না ছুটে জনগণের জীবন রক্ষা করে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি সর্বনিম্ন রাখার চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রেও আর্থিক ক্ষতির তুলনায় জীবিকার ক্ষতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আসবে।

কৃষি, কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প, ওষুধ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এবং জরুরি সেবাখাতসমূহ চালু রাখা ও প্রয়োজনে এসব খাতে প্রণোদনা প্রদান করতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়ে সরকারি প্রণোদনা যাতে সরাসরি জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় করোনার তাণ্ডব চলাকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সভাপতি প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রথমে দরিদ্র এবং নতুন করে দারিদ্রে নিমজ্জিতদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, শুধু খাদ্য ও চিকিৎসা প্রদান করলে হবে না, দরিদ্র ও নতুন করে দারিদ্রে নিমজ্জিতদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করতে হবে। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনে উচ্ছ্বাভিলাষী প্রকল্পসমূহের ব্যয় সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং মানুষ বাঁচানোর জন্য স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করতে হবে।

দ্বিতীয় পর্যায় পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় মূল লক্ষ্য থাকবে অর্থনীতিকে দ্রুততার সাথে অন্ততপক্ষে স্বাভাবিক ধারা পর্যন্ত টেনে তোলা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য অর্থনীতিতে একটা কার্যকর উদ্দীপনা সৃষ্টি করাই হবে সরকারের প্রধান কাজ। উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সকল গোষ্ঠিকে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের আর্থিক ও নীতিগত সহায়তা প্রদান করতে হবে। অর্থনীতিকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য ব্যক্তিখাতে পর্যাপ্ত পুনঃঅর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

সরকার বাজেট ঘাটতির পরিমাণ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে উন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধি করবে এবং মূদ্রানীতি সহজীকরণের মাধ্যমে ব্যক্তিখাতে পুনঃঅর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি ও সহজলভ্য করবে। ফলশ্রুতিতে, বিদ্যমান এবং নতুনভাবে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে ব্যয়ের দ্বারা অর্থনীতিতে সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পসমূহে বিনাসুদ বা স্বল্পসুদে পুনঅর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি ও সহজলভ্যতার মাধ্যমে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

পর্যায়ভিত্তিক মূল লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট না থাকলে এবং তা মানা না হলে দুর্যোগ মোকাবেলা অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে। প্রথম পর্যায়ে অর্থনীতি সীমিত হওয়ায় অনেক লোক কাজ হারাবে এবং নতুন করে দরিদ্রে পরিণত হবে। এই বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয় ক্ষমতা কমে আসবে। ফলশ্রুতিতে অর্থনীতিতে সামগ্রিক চাহিদা কমে যায়। তখন দরিদ্র ও কর্মহারাদের কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় নিয়ে ক্রয়ক্ষমতা পূর্বের জায়গায় ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তা না করে মূলধনঘন ও অতি জরুরি নয় এমন পণ্য ও সেবা শিল্পে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা করা হলে তা হবে সীমিত সম্পদের অকার্যকর ব্যবহার। এবং মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রায় বন্ধ রয়েছে, তাই রপ্তানিমুখী পণ্য ও সেবা শিল্প প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে চালু রাখার প্রচেষ্টা সফল হবে না। কারণ, মহামারিকালীন প্রণোদনার মাধ্যমে অতি জরুরি নয় এমন পণ্য ও সেবা শিল্পসমূহ চালু রাখতে হলে অব্যাহতভাবে প্রণোদনা প্রদান করতে হবে, এবং অবিক্রীত থাকায় বাজারে এসব পণ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এসব শিল্প চালু রাখা হলে কিছুদিনের জন্য কর্মসংস্থান চালু থাকলেও মহামারির সময় অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও সেবার চাহিদা কমে যায়। এই কারণে এসব শিল্প চালু রাখতে চাইলে পুনঃপুনঃ প্রণোদনার সীমিত অর্থের অপচয় করতে হয়।

এমতাবস্থায়, প্রথম পর্যায় অর্থাৎ মহামারিকালেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা করায় অধিক মনোযোগ দেয়া হলে একদিকে মহামারিতে মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে প্রণোদনার অর্থের অপচয় হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ের কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নেও সতর্ক থাকতে হবে। এসময় খাত অনুযায়ী সরকারি ব্যয়ের প্রভাব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব খাতে সরকারি ব্যয়ের মোট উপকার ভোগীর সংখ্যা বেশি সেসব খাতে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ নির্মূল/সীমিত রাখার উদ্দেশ্যে মার্চের শেষের দিকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়, এবং এই ছুটি প্রায় দুই মাসব্যাপী চলতে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্রদানের ঘোষণা করেছেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে করোনার কারণে নতুন করে দারিদ্রে নিমজ্জিত অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তে অপর্যাপ্ত পরীক্ষা, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের স্বঙ্গনিরোধে ব্যর্থতা, তদুপরি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জনগণের অনীহার পরিণামে সংক্রমণের গতি এখনো বেড়েই চলছে। আবার, অর্থনীতি স্থগিত থাকায় সরকারের রাজস্ব আয় আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গত ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি শীথিল করেছে। সরকারি-বেসরকারি উৎপাদন ও সেবা প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করেছে।

অর্থাৎ আমরা এখনো দুর্যোগের প্রথম পর্যায় থেকে মুক্ত হতে পারিনি। তাই অর্থনৈতিক অভিঘাত প্রশমন এবং জনজীবন রক্ষার জন্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং মহামারি বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে পৃথকভাবে তাণ্ডব চলাকালীন এবং তাণ্ডব পরবর্তীতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কৌশল নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

লেখক: গবেষণা সহযোগী, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :