কুড়িগ্রামে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০২০, ২১:০৯

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বেড়েই চলছে। ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে থাকা অবস্থায় আরও বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার আড়াই শতাধিক চরের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি অবস্থায় থাকা এসব মানুষের দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছেছে। বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে উঁচু বাঁধ ও পাকা সড়কে পলিথিনের তাবু টানিয়ে বসবাসকারী বন্যা দুর্গতদেরও।

এদিকে রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাটে তিস্তার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলার উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের চেরাগির চরের নিজাম উদ্দিন, আলী হোসেন জানান, এই চরের পার্শ্ববর্তী কোন উঁচু জায়গা নেই। এ জন্য নৌকার মধ্যে ২৫ দিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তারা। রান্না করার উপায় নেই, ঘরে শুকনো খাবার নেই। এদিকে নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় খুব বিপদে আছেন তারা। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি কোন ত্রাণ সহায়তা এখনও পাননি তারা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, রবিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টার ব্যবধানে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে নয় সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নয় সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানে এবং স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ১৩২টি আশ্রয়কেন্দ্রে কম-বেশি বন্যা কবলিতরা আশ্রয় নিয়েছে। আরও ৪৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে, চরাঞ্চলের মানুষদের এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হবে। এছাড়া সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ২৩০ মেট্রিক টন চাল ও চার লাখ টাকা মজুদ আছে। বন্যা কবলিতদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :