বাউফলে দুই কর্মী হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতা প্রধান আসামি

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট ২০২০, ২২:৩৯

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এমপি সমর্থিত দুই গ্রুপে গত রবিবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন রোমান (৩৪) ও ছাত্রলীগ নেতা ইশাত তালুকদার (২৪) নিহত হন।

নিহত রাকিবের বড় ভাই মফিজ উদ্দিন মিন্টু মঙ্গলবার বিকালে বাউফল থানায় মামলা করেছেন। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় সাংসদ সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সমর্থিত উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বেধড়ক মারধর করে সভাপতি সমর্থিত ইউপি সদস্য সুজন তালুকদার ও তার কর্মীরা। আহত অবস্থায় রফিকুলকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে ওই দিনই রফিকুলের অনুসারীরা দুপুর ২টার দিকে সভাপতি সমর্থিত কর্মীদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বশির ও ইব্রাহিমকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় সভাপতি সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুল কেশবপুর বাজারে গেলে যুবলীগ কর্মী রাকিব উদ্দিন রোমান ও ইশাত তালুকদারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে রাকিব উদ্দিন রোমান ও ইশাত তালুকদার মারা যান।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই হত্যার ঘটনায় মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করে ৫৯ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫-১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :