পাকিস্তানে ক্রিকেট ম্যাচে সন্ত্রাসী হামলা
‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’, পাকিস্তানের ক্রিকেটের অবস্থা এখন ঠিক এমনই। যে দুর্ঘটনার কারণে গত ১০ বছর যাবত কোনো ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে যায়নি, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হলো। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা টিমবাসের উপর সন্ত্রাসী হামলার ক্ষত কেবল ঘুঁচতে শুরু করেছে, এরইমধ্যে আবারও পাকিস্তানে চলমান ক্রিকেট ম্যাচে সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বেশ সরগরম ক্রিকেট মহল।
তবে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয়। বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাট বিভাগের ওরাকজাই জেলার দ্রাদার মামাজাই অঞ্চলে আমন ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে এলোপাতাড়ি গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। সৌভাগ্যবশত মাঠে থাকা কারও তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। পাকিস্তানের প্রথম সারির পত্রিকা ‘দ্য নিউজে’র প্রতিবেদনে উঠে আসে বিষয়টি।
ছানায় গ্রাউন্ড নামের মাঠে চলতে থাকা ফাইনালে অনেক দর্শক ছিলেন। এর মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও ছিলেন, আর প্রচার মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তো ছিলেনই। কিন্তু ম্যাচ শুরু হতেই আতঙ্কের শুরু। মাঠের কাছেই থাকা পাহাড় থেকে সন্ত্রাসবাদীরা মাঠের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণ শুরু হতেই জীবন বাঁচাতে সবাই দৌঁড়ে মাঠ ছাড়ে। ‘দ্য নিউজে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোলাগুলির পরিমাণ এতোই বেশি ছিল যে, তৎক্ষণাৎ ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা নিসার আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ওই পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনার কিছু খবর তাদের কাছে আগাম এসেছিল। পুলিশ এখন সন্ত্রাসবাদী ও অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।’
২০০৯ সালে পাকিস্তানে সফররত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিমবাসে সন্ত্রাসীরা হামলা করে। সেই হামলার পর টানা ১০ বছর পাকিস্তানের হোমগ্রাউন্ডে ম্যাচ খেলতে যায়নি কোনো দেশ। কলঙ্ক মুছে অল্প অল্প করে পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট ফিরতে শুরু হওয়ার মধ্যেই ফের ক্রিকেট ম্যাচেই সন্ত্রাসী হামলা! এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার পর পাকিস্তান সফরে ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর আগ্রহের পরিমাণ কেমন হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৭ আগস্ট/এআইএ)