কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট ২০২০, ১১:৪৯
অ- অ+

দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন মানুষের সংখ্যাও অনেক। এই সমস্ত মানুষের মধ্যে এক নির্দিষ্ট সময়ের পরে একটি সাধারণ সমস্যা চোখের সমস্যা তৈরি হয়। যদিও চোখ ছাড়াও এই কম্পিউটার-ল্যাপটপে কাজ করার আরও বেশ কিছু কুফল আছে। যাই হোক, দেখে নেওয়া যাক, কম্পিউটারে বেশি ক্ষণ কাজ করলে চোখের সমস্যা এড়ানো যাবে কী ভাবে। কম্পিটারে কাজ করার ফলে যে সমস্যাটি মানুষের মধ্যে হয় তা হল কম্পিউটর ভিশন সিনড্রোম। এটি চোখের এক প্রকার সমস্যা।

কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোমের উপসর্গগুলো হলো দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ ব্যথা করা, চোখ জ্বালা করা, মাথা ব্যথা করা, ঘাড় ব্যথা করা, চোখে আলো পড়লে অসহ্য লাগা।

এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে চেষ্টা করা যেতে পারে কয়েকটি টিপস। এই টিপসগুলো খানিকটা হলেও চোখকে স্বস্তি দেবে।

মনিটরের দূরত্ব

প্রথমেই যেটি বলার, কম্পিউটার থেকে চোখের একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাতে কম্পিউটারের আলো থেকে চোখের ক্ষতি হওয়ার পরিমাণ খানিকটা হলেও কমবে। তা ছাড়া মনিটরের উচ্চতা আর চোখের উচ্চতায় সামজ্ঞস্য থাকা দরকার। যাতে ঘাড় উঁচিয়ে দেখতে না হয়।

কনট্রাস্ট ব্রাইটনেস

কম্পিউটারের কনট্রাস্ট ও ব্রাইটনেস এমন ভাবেই অ্যাডজাস্ট করতে হবে যাতে তা চোখের পক্ষে আরামদায়ক হয়। অতিরিক্ত আলো ঝলমলে হলে বা রঙ বেশি হলে তা চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই চোখের জন্য একটি আই সুদিং ভাব বজায় রাখতে হবে।

অক্ষরের মাপ

অনেকেই কম্পিউটারের অক্ষরগুলোর মাপ অনেক ছোটো করে রাখেন। সেটি চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই এমন মাপই রাখতে হবে, যা দেখতে গেলে চোখের ওপর অকারণ চাপ না পড়ে। অনায়াসে বিনা কষ্ট করেই দেখা যায়।

কম্পিউটারে কাজের অভ্যাসের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ বার অভ্যাসের দিকগুলো নিয়ে আলোকপাত করা হলো:

বিরতি

অনেকেই একটানা বসে থাকেন কম্পিউটার-ল্যাপটপের সামনে। সেটি ঠিক নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে কিছু ক্ষণ পর পর একটু সময়ের জন্য স্ক্রিনের সামনে থেকে উঠতে হবে অবশ্যই। সুযোগ থাকলে সামান্য হাঁটাহাঁটিও করা যেতে পারে।

পলক ফেলা

অনেকেই থাকেন একবার কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কাজ করা শুরু করলে আর চোখ ফেরান না। এমনকী চোখের পলকও ফেলেন না। এটি খুবই বদ অভ্যাস। কারণ এই চোখের পলক না ফেলা, এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা সাধারণভাবে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করে। সাধারণ হিসাবে প্রতি মিনিটে চোখের পলক পড়া উচিত ১০ থেকে ১২ বা তার আসে পাশে। কিন্তু জোর করে যদি সেই কাজ বন্ধ করা হয়, তা হলে পলক পড়ার সুফল থেকে বঞ্চিত হয় চোখ। এতে চোখ আর্দ্রতা হারায়। একেই বলে চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়া। তাই কাজ করার সময়, বেশি বেশি করে চোখের পাতা ফেলতে হবে।

পানির ঝাপটা

কিছুক্ষণ অন্তর চোখে পরিষ্কার পানির ঝাপটা দেওয়া উচিত। পারলে কিছুটা সময়ের অন্তর এক মিনিটের জন্য চোখ দু’টি বুজিয়ে থাকতে পারলেও ভালো হয়।

আলোর অবস্থান

চোখ বাঁচাতে খেয়াল রাখতে হবে কম্পিউটারটি আলোর ঠিক কোন দিকে রয়েছে। আলোর বিপরীতে নাকি আলোর দিকে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে আল কম্পিউটার স্ক্রিনে পড়ে প্রতিফলিত হয়ে চোখে এসে না পড়ে।

সবুজের দিকে তাকানো

অন্তত পক্ষে ২০ মিনিট পর পর যদি চোখকে বিশ্রাম দেওয়া যায় তা হলে উপকার হবে চোখেরই। তার জন্য যদি ২০ মিনিট পর এক মিনিট করে চোখ বন্ধ করে থাকা যায়। বা ঘরের বাইরের সবুজ গাছের দিকে তাকিয়ে থাকা যায় তা হলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে কম্পিউটারের পিছনের দেওয়াল বা পর্দা যদি সবুজ রঙের হয় তা হলে খুবই ভালো হয়।

কম্পিউটার গ্লাস

চোখ বাঁচাতে ট্রাই করা যেতে পারে আরও একটি পদ্ধতি। তা হল কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করা। এটি চোখের স্বার্থে ও দীর্ঘ সময় কম্পিউটার ব্যবহারকে কিছুটা আরামদায়ক বানাতে তৈরি হয়েছে। এই কাঁচের ব্যবহার করেও চোখ রক্ষার চেষ্টা করা যেতে পারে।

চশমা

অনেকেই অ্যান্টি রিফলেক্টিং কোটিং-এর কথা শুনেছেন। চশমার লেন্সে এই কোটিং ব্যবহার করা যেতে পারে। এটিও চোখকে সুরক্ষিত করে।

চিকিৎসকের পরামর্শ

সমস্যা হচ্ছে মনে হলেই ফেলে না রেখে সময় বের করে চলে যাওয়া উচিত চক্ষু চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের উপযুক্ত পরামর্শ নেওয়া এবং তা অবশ্যই মেনে চলা উচিত।

(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বনানীতে পথশিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা