ভৈরবের পৌর মেয়রসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২১:৪৮| আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২১:৫০
অ- অ+

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে পৌরসভার মেয়র ফখরুল আলম আক্কাছসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মানহানি মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভৈরবের তাবারুক হোসেন নামে এক ব্যক্তি এই মামলাটি করেন। তার বাড়ি উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামে।

এই মামলায় তিনজন পৌর কাউন্সিলর, একজন পুলিশ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকেও আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি কিশোরগঞ্জ পিবিআইকে তদন্ত করতে আদেশ দিয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সুলাইমান, ভৈরব পৌরসভার প্যানেল মেয়র আল- আমিন, পৌর কাউন্সিলর দ্বীন ইসলাম, কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ নিয়াজ, পুলিশের এসআই মাজহারুল ইসলাম, পৌরসভার প্রধান সহকারী ইমাম হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাদল মিয়া, লিয়াকত আলী ও আ. হেকিম।

বাদীর এজাহার সূত্রে জানা গেছে একটি ওয়ারিশান সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাদী তাবারুক হোসেনকে আসামিরা তার বাড়ি থেকে পৌরসভায় ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করেন পৌর মেয়র। পরে পৌরসভার প্রধান সহকারী ইমাম হোসেন তার বিরুদ্ধে মামলা দিলে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। তারপর বাদী দুই মাস ১৭ দিন জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্তি পায়। এই মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি তাবারুক হোসেনকে মুক্তি দিয়ে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। তারপর করোনার কারণে বিলম্ব হলেও বাদী তাবারুক হোসেন বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আমলি আদালত-২-এ এই মানহানি মামলা করেন।

বাদীর অভিযোগ, পৌর মেয়র অন্যান্য আসামির সহযোগিতায় তাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেয়াসহ তার মান-সম্মান সমাজে ক্ষুণ্ন করেছেন।

তাবারুক হোসেন জানান, আমি ওয়ারিশান সার্টিফিকেট জাল করেনি। আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফারুক মিয়া তহবিলের টাকা আত্মসাত করলে আমি আদালতে মামলা করি। এই মামলায় তার এক বছরের জেল হয়। আসামি ফারুক জালিয়াতি করে পৌরসভায় একটি জাল ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যা আদালতে প্রমাণ হয়েছে, ওয়ারিশান সার্টিফিকেটটি আমি জাল করিনি। পৌর মেয়রের কারণে আমি জেল খেটেছি, আমার মানসন্মান গেছে। তাই আমি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করেছি।

ভৈরব থানার এসআই মাজহারুল ইসলাম জানান, তৎকালীন ওসির নির্দেশ পেয়ে আমি পৌরসভায় যাই। সেখানে গেলে মেয়র সাহেব তাবারুক হোসেনকে আমার হাতে তুলে দেন। পরে তার বিরুদ্ধে পৌর কর্তৃপক্ষ মামলা করে। এতে আমি দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।

পৌর মেয়র ফখরুল আলম আক্কাছ জানান, বাদী তাবারুক হোসেন একজন প্রতারক। সে আদালতে জাল ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দাখিল করে ফারুককে সাজা খাটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদবিরের অভাবে আদালত খারিজ করে দেয়। মেয়র হিসেবে আমি ব্যস্ত থাকি। যারা মামলা তদারকির দায়িত্বে ছিল তারা গাফিলতি করেছে। আদালতে করা মামলাটি আমি আইনিভাবে মোকাবেলা করব বলে তিনি জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৬নভেম্বর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
আশুলিয়ায় গণহত্যা ও ছয় লাশ পোড়ানো মামলায় ১৬ জনকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তরুণদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: রাবাতে আসিফ মাহমুদ
হজব্রত শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি
৭ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা