বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ইতিহাস গড়লেন কিশোর রাব্বি

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ২০:১০| আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ২০:১১
অ- অ+

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন এক সঙ্গে ৪৩ জন সাঁতারু। তাদের মধ্যে একজন বিদেশি, দুজন নারী ও দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। এর মধ্যে সফল হয়েছেন ৪০ জন সাঁতারু। তবে সবচেয়ে কম সময়ে এটি পাড়ি দেয়ার গৌরব অর্জন করেন রাব্বি রহমান। তিন ঘণ্টা ২০ মিনিটে সাঁতরে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান তিনি। এসময় দ্বীপের বাসিন্দারা ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান তাকে। প্রথম স্থান অধিকারকারী এই কিশোর বগুড়া জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ওই ৪৩ জন সাঁতারু। ১৫তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের আয়োজক ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা।

আয়োজক ও দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৪৩জন সাঁতারু। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে প্রথম পৌঁছেন সাড়ে ১৩ বছর বয়সী রাব্বি রহমান। এই চ্যানেল প্রথমবারের মতো পাড়ি দিয়ে তিনি ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। সবচেয়ে কম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার গৌরবও অর্জন করেন তিনি।

রাব্বি রহমান ছাড়া সাইফুল ইসলাম রাসেল তিন ঘন্টা ৩১ মিনিটে পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। তিন ঘন্টা ৩৫ মিনিটে পাড়ি দিয়ে তৃতীয় হয়েছেন সোজা মোল্লা। ধাপে ধাপে বিকাল ৫টার পর বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে পৌঁছান সব সাঁতারু।

প্রথম স্থান অধিকারী বগুড়ার কিশোর রাব্বি রহমান বলেন, বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছি আমি। আমার টার্গেট ছিল যে কোনো মূল্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে জয়ের স্বাদ নিতে হবে আমাকে। আল্লাহ আমার সেই আশা পূরণ করেছেন। আগামীতে আরও বড় বড় অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে চাই। এ জন্য সরকার ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার বলেছেন, চ্যানেল সাঁতারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এ আয়োজন করা হয়েছে। সাঁতারুরা ফ্রি হ্যান্ড সুইমিং করবেন। নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক সাঁতারুর সঙ্গে একটি করে উদ্ধারকারী নৌকা থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্ভিস বোট, জরুরি নৌকা ও ডুবুরি থাকবেন। এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের সহ-আয়োজক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও পর্যটন বোর্ড। প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফরচুন গ্রুপ, পৃষ্ঠপোষক ভিসা থিং ও এনসিসি ব্যাংক, অংশীদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্টুডিও ঢাকা ও ষড়জ এবং রেসকিউ পার্টনার বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

প্রসঙ্গত অ্যাডভেঞ্চার গুরু খ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।

(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ২ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
‘জুলাইয়ের শহীদদের পাশে আজীবন থাকবে জামায়াত’
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে উত্তরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা