ঠাকুরগাঁওয়ে ভাড়া দোকান নিজের দাবি করায় সংঘর্ষ, আহত ৭

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২১:২৯

ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী বাজারে দোকানঘর ভাড়া নিয়ে পরবর্তীতে মালিকানা দাবি করার ঘটনায় উভয়পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভুল্লী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- দোকানঘর মালিক ইয়াকুব আলী, সালমা বেগম, রোকেয়া বেগম, সুফিয়া বেগম, নাসিমা আক্তার, শহিদুল ইসলাম ও রোমানা আফরোজ।

জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড় বালিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলী ১৯৭৫ ওই জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। সেই জমিতে কিছু দোকান ঘর নির্মাণ করে ৭/৮ বছর পূর্বে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ভাড়া প্রদান করেন। এর মধ্যে বাহার উদ্দীন, লাভলী বেগম, ইউনুস আলীও রয়েছেন। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তারা ভাড়া দিতে টালবাহানা শুরু দোকান মালিক তাদের দোকান ছেড়ে দিতে চাপ দেয়।

এক পর্যায়ে তারা দোকানঘর ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বরাবরে লিখিত আবেদন দাখিল করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে নিস্পত্তি করার জন্য উভয় পক্ষকে তলব করেন। কিন্তু বাহার উদ্দীন, লাভলী বেগম, ইউনুস আলী প্রভাবশালী হওয়ায় চেয়ারম্যানের কথার কোন কর্ণপাত করেনি। পরে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাদী পক্ষের কাগজ পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দেন।

ভুল্লী বাজারের চাল ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন বলেন, বাহার উদ্দীন, লাভলী বেগম, ইউনুস আলী ওইসব দোকান ঘরের ভাড়াটে ছিলেন ।পরবর্তীতে তারা জমির মালিকানা দাবি করে।

মশিউর রহমান, আহমম্মদী, স্বপনসহ আরও অনেকে বলেন, জোর যার মূল্লুক তার। এখানে আমাদের কথা বলে লাভ কি ? গত রাতে বাহার উদ্দীন, লাভলী বেগম ও ইউনুস আলী স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে ইয়াকুব আলীর বাড়িতে আগুন, হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও দখল চালায়।

দোকান মালিক ইয়াকুব আলী বলেন, স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ি ও গুদামের তালা ভেঙে ট্রাক্টরে করে প্রায় কোটি টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়াও তারা বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

বাহার উদ্দীন, লাভলী বেগম, ইউনুস আলী ভাড়াটে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা পরবর্তীতে দোকানঘরগুলো স্থানীয় সফিউলের কাছে ক্রয় করি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) একেএম আতিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাত ৯৯৯ নম্বরের কলকে কেন্দ্র আমরা ভূল্লীতে গিয়ে দেখি একটি দোকান ঘরকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। তখন পরিস্থিতি শান্ত করি। এজাহার দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :