নামি ব্র্যান্ডের মোড়কে নকল পণ্য, গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ মার্চ ২০২১, ১৮:৪৩

দেশে প্রচলিত বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের মোড়ক নকল করে অবৈধ উপায়ে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য প্যাকেটজাত করে বাজারে ছাড়ছিল একটি চক্র। এমন অভিযোগে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার বিকালে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই চক্রের কার্যক্রম এবং তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরেন অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

সিআইডি কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন বাজারে নকল পণ্য সরবরাহকারী চক্রকে ধরতে সিআইডি অভিযান অব্যাহত রেখেছিল। সে ধারাবাহিকতায় সোমবার পণ্যে নকল ও ভেজাল চক্রের তিনজনকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- জাহিদুল ইসলাম (৩৫), আব্দুর কাদের (২৫) ও ইউনুছ আলী (১৯)।

এসময় নকল পণ্য তৈরির মেশিন ও ভেজাল পণ্য বাজারজাত করতে প্যাকটজাতকৃত প্রায় ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের সরঞ্জাম এবং পণ্য জব্দ করা হয়।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক নকল করে ভেজাল পণ্য বাজারে ছাড়ত। তাদের তৈরিকৃত পণ্যটি নকল না আসল তা বোঝার সুযোগ থাকতো না সাধারণ ভোক্তার। এমনকি দোকারদাররাও তাদের পণ্য যে নকল তা বুঝতে পারতো না।

কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি নামিদামি কোম্পানির প্যাকেটের সঙ্গে মিল রেখে নতুন মোড়ক তৈরি করতো। যেমন সার্ফ এক্সেল ডিটারজেন্টের নামের সঙ্গে মিল রেখে তারা তৈরি করেছে সুপার এক্সেল। কিন্তু প্যাকেটর কালার এবং বাকি সব তথ্য একই। যে কারণে খুব গভীরভাবে যাচাই-বাছাই না করলে সাধারণ ভোক্তারা এটি ধরতে পারবে না।

সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, নকল মোড়কে ভেজাল পণ্য প্যাকেটজাত করে বাজারে ছেড়েছিল এমন বেশ কয়েকটি পণ্য জব্দ করেছে সিআইডি। এর মধ্যে মিয়াজিপুর চা নামে চার হাজার ৮৬৪টি প্যাকেট, সুপার এক্সেল ডিটারজেন্ট নামে ছয় হাজার ১২০ প্যাকেট, চকোচকো চকলেট চার হাজার পিস, পালস চকলেট পাঁচ হাজার ৪০০ পিস, নিউ টাইগার ডিটারজেন্ট পাউডার তিন হাজার ৭৩৬ প্যাকেট, সুপার ড্রাই সিলিকা জেল ২৪ হাজার প্যাকেট, হাই স্পিড ললিপপ ৭৫টি, রোবু ড্রিংকস ১০০টি, ড্রিংকস ৬৫টিসহ প্রায় ১২টি ভুয়া পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিক্সার মেশিন একটি, প্যাকিং মেশিন একটি, পা সিলিং মেশিন সাতটি, সিলিকা রালে ১৫টি এবং সিলিকা গুড়া চার কেজিসহ বেশকিছু মেশিন এবং কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, সাধারণ ভোক্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। কিন্ত তারা যেসব কোম্পানির নাম দিয়ে বাজারে এসব পণ্য ছেড়েছে তার কোনো বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। অর্থাৎ তাদের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ অবৈধ। তারা এমন প্রতারণা শুরুর আগে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি করেছিল। যেখানে এসব পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া তারা শিখেছিল। তবে চক্রটির সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে সিআইডির তৎপরতা অব্যাহত থাকলে বলে জানিয়েছেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

সোনালী লাইফের বহিষ্কৃত সিইও মীর রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

চাকরির পরীক্ষার আগেই মিলত উত্তর, চুক্তি ১২-১৪ লাখ টাকায়: ডিবি

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার, বিপুল কনটেন্ট জব্দ

এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলা: ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি

স্ত্রীসহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডিবিতে যা বলেছেন কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান

শেরপুরের ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

খেলনার প্যাকেটে আমেরিকা থেকে এসেছে কোটি টাকার গাঁজার চকলেট-কেক

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :