শাল্লায় হামলার প্রধান আসামি শহীদুল আমাদের কেউ নন: যুবলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
  প্রকাশিত : ২০ মার্চ ২০২১, ১৯:৪৯| আপডেট : ২১ মার্চ ২০২১, ১৫:০৪
অ- অ+

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় করা একটি মামলার প্রধান আসামি শহীদুল ইসলাম স্বাধীন যুবলীগের কেউ নন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের জেলা শাখা।

শহীদুল-পক্কন মিয়া ও তাদের অনুসারীরা নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। হামলার ঘটনায় শনিবার ভোরে মৌলভীবাজার থেকে শহীদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের তদন্ত সংস্থা (পিবিআই)।

শহীদুল দিরাই উপজেলা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি ওই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। আর তার বাবা কেরামত আলী স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে।

শহীদুলকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে যুবলীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সংগঠনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল যুবলীগের কেউ নন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জু বলেন, সাম্প্রদায়িক ঘটনার ইস্যুতে শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। মূলত শহীদুল যুবলীগের কোনো সাংগঠনিক ইউনিটের সঙ্গে জড়িত নয়।

মঞ্জু আরও বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় যুবলীগের কোনও কমিটি নেই। সেখানে শহীদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বার কী করে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হতে পারে। একটি সাম্প্রদায়িক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে একটি পক্ষ। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য পরিবেশনের অনুরোধ জানান তিনি।

নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস নামে এক যুবক মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন এমন অভিযোগে গত বুধবার সকালে আশপাশের তিন গ্রামের লোকজন নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালায়। ঘটনার পরদিন শাল্লা থানায় দুটি মামলা করা হয়। একটি মামলা করে শাল্লা থানা পুলিশ। অন্য মামলাটি করেন নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। চেয়াম্যানের নিজ বাড়ি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে।

মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর, নাচনী এবং শাল্লা থানার হবিবপুর কাশিপুর গ্রামের দেড় সহস্রাধিক জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি করা হয় নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ সভাপতি স্বাধীন মিয়াকে।

হামলার ঘটনায় মামলার পর গত বৃহস্পাতিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর আজ ভোরে পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন শহীদুল ইসলাম স্বাধীন।

ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/প্রতিনিধি/এমআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা