মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ তৈরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২১, ১৪:২৯ | প্রকাশিত : ২৪ মার্চ ২০২১, ১৪:০২

মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনের পরিত্যক্ত বট গাছের গোঁড়া বেঁধে বঙ্গবন্ধু মঞ্চ তৈরি করেছেন জেলা প্রশাসক।

যাতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার প্রাপ্তি পর্যন্ত সকল ইতিহাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ এই মহৎ উদ্যোগটি গ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক বলছেন, এই মঞ্চের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে চিনবে, ৫২ থেকে ৭১-এর ঘটনা জানতে পারবে। এই মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে পারবে সবাই। আর ছবিগুলো দেশের ইতিহাস বহন করবে।

শিল্পীদের নিপুণ হাতের ভাস্কর্য তৈরির পরে রঙ-তুলির আঁচড়ে চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের একটি বটগাছের গোঁড়া বেঁধে ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, ৬ দফার আন্দোলন, স্মৃতিসৌধ, সংগ্রাম দিবসসহ স্বাধীনতার বিভিন্ন ধরনের সংগ্রামী ছবি। সঙ্গে মঞ্চে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশ সৃষ্টির দৃশ্য।

জেলা প্রশাসক জানান, বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে এই জেলায় কোনো ধরনের স্থাপনা নেই। জেলা প্রশাসন কার্যালয়, জজ কোর্ট, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার অফিস নিয়ে এটা একটি ক্যাম্পাসে পরিণত হয়েছে। এই মঞ্চের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নও চিত্রায়িত করা হয়েছে। মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে পারবে সবাই। সবার কাছে সেই সময়ের ইতিহাত পৌঁছানোর জন্যই এ উদ্যোগ।

নতুন প্রজন্ম বলছে, এই ছবিগুলো দেখে ভাষা আন্দোলন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের ইতিহাস অন্তরে লালন করতে পারবে নতুন প্রজন্ম। আর এই মহান উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদও জানান তারা।

চিত্রশিল্পী শ্রী সরম জানান, অন্যান্য ছবি রঙ তুলির মাধ্যমে আঁকলেও এটা একটি ব্যতিক্রমী কাজ। জেলা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে দাবি এ ধরণের ভাস্কর্যগুলো তুলে ধরলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস জানতে পারবে।

নতুন প্রজন্মের রঙ-তুলি চিত্রশিল্পী লাকী বলেন, ‘বাবার সঙ্গে বাংলাদেশের যুদ্ধের সংগ্রামী ছবিগুলোর কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এখন থেকে যেমন রংতুলির কাজ শিখতে পারছি তেমনি যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছি।’

রাজশাহী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবী-অরাজনৈতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই এর আহ্বায়ক আসলাম উদ দৌলা জানান, একসময় ছিল, যখন প্রশাসন জাতির পিতার স্লোগানটি তাদের দেয়ালেই ঝুলিয়ে রাখত। এখন প্রশাসন বাস্তব ও জনমুখী হচ্ছে। আর বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়। তারা দেশ গড়ার জন্য ভূমিকা পালন করতে চায়। আর এই উদ্যোগ নতুন প্রজন্ম ও সংগ্রামী মানুষকে নতুন করে ভাবনার খোরাক জোগাবে।

তবে স্থানীয়দের দাবি, শুধু একই স্থানে এই উদ্যোগ গ্রহণ করলেই হবে না। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। আর এ উদ্যোগে সকলকেই এগিয়ে আসা দরকার।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :