নিবন্ধন করেও করোনা টিকা নেয়নি ২০ শতাংশ মানুষ

এম শরীফ ভূঞা, ফেনী
 | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২১, ১৮:১৩

ফেনীতে করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধন করেও প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আসেননি। টিকা পেতে এ পর্যন্ত ফেনীতে নিবন্ধন করেছেন ৫৯ হাজার ৮১০ জন। টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ৯০১ জন। নিবন্ধন করেও টিকা নিতে বুথে আসেননি ১০ হাজার ৯০৯ জন।

নিবন্ধন করেও টিকা না নেয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ বিব্রতবোধ করছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ফেনী সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. এসএসআর মাসুদ রানা।

চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই মাসের প্রথম দিন থেকে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন শুরু হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, মোট টিকা গ্রহীতার মধ্যে ৩০ হাজার ৭২০ জন পুরুষ এবং ১৮ হাজার ১৮১ জন নারী। টিকা গ্রহীতা ২৬ জনের মধ্যে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিদের তাগাদা দিতে ইতোমধ্যে একাধিক সভা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

করোনা ভ্যাকসিন কমিটি, করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও জেলা সমন্বয় সভাতেও বিভিন্নভাবে টিকা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তৃণমূল অর্থাৎ কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিদের দ্রুত টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত বয়সের এখনো যারা নিবন্ধন করেনি তাদের তাগাদা দিতে বলা হয়েছে।

করোনায় সামনের সারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের পক্ষ হতে টিকা গ্রহণের কথা বলা হয়। এমন অনেকেই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও টিকা গ্রহণ করেননি। নিবন্ধন করেও টিকা না নেয়া প্রসঙ্গে একজন গণমাধ্যমকর্মী জানান, কিছুটা অলসতা, কিছুটা ভয় মিলে টিকা নেয়া হয়নি। তবে শিগগিরই টিকা নেবেন বলে তিনি জানান।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, টিকা কার্যক্রমের শুরুতে জেলায় মোট ১৯টি বুথ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ২৫০ শয্যার ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আটটি, পাঁচটি উপজেলায় দুইটি করে ১০টি ও ফেনী পুলিশ লাইনে একটি বুথ স্থাপন করা হয়। টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ৩৫ জন চিকিৎসক, ছয়জন করে ২৪টি দলে মোট ১৪৪ জন টিকাদানকারী নিয়োজিত করা হয়।

ফেনী সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মাসুদ রানা জানান, টিকা না নেয়া এবং যারা নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হননি তাদের সম্পৃক্ত করতে ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রয়োজনে বিভিন্ন বাজার কমিটির সভাপতি-সম্পাদককে যুক্ত করার জন্য বলেছি। এছাড়াও জেলার সভায় প্রচার-প্রচারণা বাড়তে জেলা তথ্য অফিসকে বলা হয়েছে এবং পৌরসভাকেও প্রচার-প্রচারণা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :